মত-মতান্তর
মুরব্বিরা চাইলেই কি স্বাধীন ভোট?
সাজেদুল হক
২৮ মে ২০২২, শনিবার
উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদলকে ছাত্রলীগের নির্মম পিটুনি। রেহাই মেলেনি নারী কর্মীদেরও। লাঠি-হকিস্টিক হাতে এক নারীকে ঘিরে ধরেছেন কয়েকজন। পেটাচ্ছেন আচ্ছামতো। তবে দুইজন এগিয়ে এলেন তাকে রক্ষায়। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। যদিও এ নিয়ে খুব বেশি কথা হয়নি। বিখ্যাত নারীবাদীরাও মাতম করছেন না। এবং এটা বিস্মিত হওয়ার মতোও নয়।
সব আন্দোলনের চাবি যেন ছিল এই ক্যাম্পাসেই। বিপরীত চিত্রও রয়েছে। কত মায়ের সন্তান লাশ হয়ে ফিরেছেন এখান থেকে। পরিস্থিতি এখন অবশ্য বেশ পাল্টেছে। দুই দশকের বেশি সময় ধরেই ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের একক নিয়ন্ত্রণ। এটিই সম্ভবত দৃশ্যপট পাল্টাতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। বিরোধী সংগঠনগুলো ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাওয়াও বড় কারণ। কেমন হবে আগামী নির্বাচন-এ নিয়ে যখন ধারাবাহিকভাবে লেখার চেষ্টা করছি তখন এসব ঘটনায় দৃষ্টি দিতেই হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লঙ্কাকাণ্ড বাধার দিনেই টিভিতে কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্য শুনছিলাম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমনিতে বেশ স্মার্ট মানুষ। কথা বলেন স্পষ্ট উচ্চারণে, গুছিয়ে। নিশ্চয়তা দিলেন, ভোট রাতে নয়, দিনেই হবে। কিন্তু এটাও বলতে ভুললেন না যে, রাতের ভোট তিনি দেখেননি। দিনের ভোটই দেখেছেন। বিগত নির্বাচন নিয়ে তার মূল্যায়নের এক ধরনের ইংগিত পাওয়া যায় এই বক্তব্যে। ইভিএম আর টেন মিলিয়ন ডলার নিয়ে আরেক নির্বাচন কমিশনারের দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সিইসি। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল অবশ্য ইভিএম যন্ত্রের প্রশংসা করেছেন আকুণ্ঠচিত্তে। বলেছেন, ইভিএমে কারসাজি করার সুযোগ নেই। শাহাজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সব দাবি মানার কী হলো সে প্রসঙ্গ তাকে অবশ্য কেউ স্মরণ করিয়ে দেয়নি। বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। সেটি সম্ভবত এখনো তেমন বড় কোনো আলোচনার জন্ম দেয়নি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সম্প্রতি ঢাকায় অন্তত ৩টি বড় ধরনের সেমিনার বা আলোচনা অনুষ্ঠান হয়ে গেল। এসব আলোচনায় যখন চোখ রাখছি তখন নিজের পুরনো একটি লেখার কথা মনে পড়লো। জর্জ ডব্লিউ বুশের জমানা। ‘সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ইরাক-আফগানিস্তানে হামলা। এই প্রেক্ষাপটে সারা দুনিয়াকেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হয় তুমি আমার পক্ষে, না হয় বিপক্ষে। মাঝামাঝি থাকার কোনো জায়গা নেই। এ ঘটনা থেকে ধার করেই ৯ বছর আগে মানবজমিনে লিখেছিলাম, ‘মিডিয়া চলছে বুশ ডকট্রিনে।’ স্মরণ করতে পারি এ লেখা নিয়ে এক বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘ ফোনালাপ হয়েছিল। এই ডকট্রিন কীভাবে সত্য সংবাদমাধ্যমের জন্য বিপদ ডেকে আনে তা নিয়ে আলাপ করেছিলাম আমরা। পরে তো দেখেছি ধীরে ধীরে এ সমাজ থেকে তৃতীয় এবং দ্বিতীয় সব মতই অনেকটা হারিয়ে গেছে। উধাও হয়ে গেছে নাগরিক সমাজ। হয় তুমি আমাদের সঙ্গে, না হয় ওই শিবিরে।

এর মধ্যবর্তী কোনো জায়গা থাকতে নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা স্মরণ করতে পারি প্রখ্যাত যোগাযোগ তত্ত্ববিদ মার্শাল ম্যাকলুহানের বিখ্যাত তত্ত্ব- মিডিয়াম ইজ দ্য মেসেজ (বাহনই বার্তা)। প্রকাশিত সংবাদে কী বলা হয়েছে তার চেয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোথায় সেটি প্রকাশিত হয়েছে। সে যাই হোক। বলছিলাম ৩টি সেমিনারের কথা। সম্পাদক পরিষদ, বিএনপি এবং সর্বশেষ ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এসব আলোচনার আয়োজন করে। সম্পাদকদের উদ্বেগ নিয়ে বিগত লেখাতেই আলোচনা করেছিলাম। সেমিনারে বিএনপি নেতাদের তাদের আমলে সাংবাদিক নির্যাতন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ক্ষমতায় থাকার সময় দলগুলো কীভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে কাজ করে সেটাও তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। মার্কিন দূতাবাসের আলোচনায় কূটনীতিকরা একযোগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেন। এ নিয়ে ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্টে বলা হয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অভিন্ন ভাষায় কথা বললেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জাপানের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূতরা তাদের নিজ নিজ দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে ভুলভ্রান্তিগুলো ধরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে গণ্যমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর জোর দেন। বলেন, যদি গণমাধ্যমের ‘টুঁটি চেপে ধরা হয়’ তাহলে গণতন্ত্র ধাক্কা খাবে। ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে সাহসী সাংবাদিকতার প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, ‘‘সংক্ষেপে বললে, সাংবাদিক হতে সাহস লাগে। আজ এখানে সমবেত পেশাদার সংবাদকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন মতিউর রহমান এবং মতিউর রহমান চৌধুরী। সত্যকে দমিয়ে রাখার জন্য প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এই সম্পাদকদের প্রত্যেকেই তাদের সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তে অসাধারণ সাহস দেখিয়েছেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সাংবাদিকেরা প্রতিদিনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তবে নির্বাচনে তাদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এবং বাংলাদেশে, আমরা সবাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত সংবাদ প্রতিবেদনের সংখ্যা বাড়তে দেখছি। বাংলাদেশসহ যেকোনো জায়গায় নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হচ্ছে- জনগণের সেই ক্ষমতা থাকতে হবে যেন তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নিজস্ব সরকার বেছে নিতে পারে।’’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত এটাও স্মরণ করিয়ে দেন যে, ন্যায়ভিত্তিক ও অবাধ গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান উপাদান স্বাধীন গণমাধ্যম। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কিছুদিন ধরেই আলোচনা জোরদার হয়েছে। পিটার হাসই এর আগে বলেছিলেন, নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। ব্রাসেলসে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ কমিশনের বৈঠকে মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি নির্বাচন ইস্যুটিও আলোচনায় ওঠে। ইইউ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ কমিশনের বৈঠকে দুই পক্ষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসন, সুশাসন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছে। বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণের বিষয়ে সরকারের আগ্রহের প্রশংসা করেছে ইইউ।
নাগরিক সমাজের গুরুত্বের কথাও বলা হয়েছে ইইউ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির যুক্তরাষ্ট্র সফরেও অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টরা জানতে চান, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে সরকারের পরিকল্পনা কি? জবাবে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করছে সরকার। তাছাড়া নির্বাচনটি অবশ্যই সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্ন হবে এতে কারও কোনো সন্দেহ-সংশয় থাকা উচিত নয়। নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগ নাকচ করে বলা হয়, এতে ক্ষমতাসীন দল বা জোটের কোনো ধরনের প্রভাব খাটানোর চিন্তা নেই। তবে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বর্তমান পদ্ধতি মেনেই বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে বিএনপি। পানি ঘোলা করে সময় এলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। নিয়মের বাইরে অন্য কোনো পথ নেই। বিএনপিকে নিয়ম মেনেই নির্বাচনে আসতে হবে।
ঢাকায় গত রোববার এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগের লেখায় এটা বলার চেষ্টা করেছিলাম। গত দুটি সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আর হবে না। তবে নতুন মডেলের নির্বাচনটিও শাসক দলের চাওয়া-পাওয়ার খুব একটা বাইরে হবে এমন কোনো চিত্র এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। পর্যবেক্ষকরা এটা খেয়াল করে দেখতে পারেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংসদে বড় দলগুলোর এক ধরনের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। যদিও এটা সবাই জানেন, আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিরঙ্কুশের চেয়েও বেশি। বিএনপির সংসদ সদস্যরা কী প্রেক্ষাপটে শপথ নিলেন তা আজও এক রহস্য বটে। গুটি কয়েক এমপির চাপে দলটির হাইকমান্ড কী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? নাকি এটা হাইকমান্ডের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে এই লেখকের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। তবে স্মরণে রাখা প্রয়োজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জয়ী হয়েও সংসদে যাননি।
বিএনপি নেতারা যখন কথায় কথায় এই সরকার এবং সংসদকে অবৈধ দাবি করেন তখন সেই সংসদে তাদের অংশ নেয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাবে। নাকি সুযোগ-সুবিধা নেয়ার ক্ষেত্রে আর অবৈধ থাকে না। রাজনীতিতে সবসময় সব দৃশ্য সামনে আসে না। মঞ্চের পেছনে ঘটে যায় কত ঘটনা! কিছু সামনে আসে। কিছু চিরকাল থেকে যায় পর্দার আড়ালে। যেমন এই প্রশ্নটিও প্রায়শই ওঠে- গেল সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কি এতো বেশি আসনে জিততে চেয়েছিল। কী পরিপ্রেক্ষিতে সব ওলটপালট হয়ে যায়। একসময় এদেশে নানা জরিপ হতো। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুতে। এখন অবশ্য প্রকাশ্যে জরিপ খুব একটা হয় না। তাই বলে জরিপ তো থেমে নেই। ঢাকার একজন শীর্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছিলেন, জরিপ এখনো হয়। নানা পক্ষ, মহল করে থাকে। বেশকিছু সংসদীয় আসন নিয়ে এমনই একটি জরিপ হয়েছে কিছুদিন আগে। যে জরিপের ফলে অনেক হেভিওয়েট নেতার পরাজয়ের আভাস দেয়া হয়েছে।
“নাগরিক সমাজ প্রায় নিখোঁজ। ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা। বিরোধী শক্তি বিপর্যস্ত এবং দিশাহীন। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ চাইলেই কি স্বাধীন নির্বাচন সম্ভব? প্রশ্নটি জোরালো। উত্তরে সংশয় আরও বেশি জোরালো। যদিও সংবিধান বলছে, জনগণই এ রাষ্ট্রের মালিক।”
রাজনীতি এরই মধ্যে মাঠে গড়াতে শুরু করেছে। দুঃখজনক হলো সংঘাতের আভাস স্পষ্ট। গেল সপ্তাহে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে দেশের আনাচে-কানাচে থেকেও। ছাত্রদল সক্রিয় হওয়ার চেষ্টাতেই নতুন এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। সবচেয়ে আক্রমণাত্মক মেজাজে রয়েছে ছাত্রলীগ। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে আশ্রয় নিয়েও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাত থেকে রেহাই মেলেনি ছাত্রদল কর্মীদের। বেধড়ক পিটুনির শিকার বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে। একজনের অবস্থা বেশ খারাপ। নতুন করে শুরু হয়েছে মামলা। তবে এটিই মুখ্য আলোচ্য বিষয় নয়। পর্দার আড়ালে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে আগামী নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মুরব্বিদের ভূমিকা নিয়ে। বিশেষ করে র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা চলে আসছে। যদিও র্যাবের বিষয়টি মানবাধিকার সম্পর্কিত। ভোট নিয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপ অবস্থান খোলাসা করেছে। ভারত ও চীন যে প্রকাশ্যে এ নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি তাও আগেই বলা হয়েছে। কিন্তু বিগত দুটি নির্বাচনে তাদের অবস্থান ছিল স্পষ্ট। আগামীতে তা পরিবর্তনের মতো কোনো ঘটনা এখনো দৃষ্টিগোচর হয়নি।
নোট: নাগরিক সমাজ প্রায় নিখোঁজ। ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা। বিরোধী শক্তি বিপর্যস্ত এবং দিশাহীন। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একাংশ চাইলেই কি স্বাধীন নির্বাচন সম্ভব? প্রশ্নটি জোরালো। উত্তরে সংশয় আরও বেশি জোরালো। যদিও সংবিধান বলছে, জনগণই এ রাষ্ট্রের মালিক।
লেখক: প্রধান বার্তা সম্পাদক, দৈনিক মানবজমিন, ই-মেইল: [email protected]