খেলা
বিশ্বসেরা দল হওয়ার স্বপ্ন তাসকিনের
স্পোর্টস ডেস্ক
২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার
পূর্বে বেশ কয়েকটি সিরিজে বাংলাদেশের স্পিনবান্ধব উইকেটের সমালোচনা হয়েছে। তবে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড- দুই সিরিজেই উইকেট নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তথাকথিত স্পিনের রাজ্যে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন টাইগার পেসাররা। বোলারদের সঙ্গে একতালে ছন্দ দেখাচ্ছেন ব্যাটাররাও। ক্রমশ উন্নতিতে একদিন বিশ্বের সেরা ক্রিকেট দল হবে বাংলাদেশ, এমনই স্বপ্ন দেখছেন টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগুনে বোলিং করেন তাসকিন আহমেদ। ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। টি-২০তে যা তাসকিনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ নির্বাচিত হন তাসকিন। দুর্র্দান্ত বোলিং করেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদও। বোলিং বিভাগের আগে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ান লিটন-রনিরা। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তোলে টাইগার ব্যাটাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও বাংলাদেশিদের পারফরম্যান্সের চিত্রটা একই ছিল। আর এই ধারাবাহিকতাই তাসকিনকে বিশ্বসেরা দলের সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ম্যাচ শেষে টাইগার পেসার বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন আমরা বিশ্বের শীর্ষ দল হব। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা ক্রিকেট খেলছি এবং এগোচ্ছি। আস্তে আস্তে মাঠেও তা দৃশ্যমান হচ্ছে। যদি ধারাবাহিকতাটা থাকে, সামনে অনেক বড় বড় ইভেন্ট আছে, সেসবেও প্রতিফলন পড়বে ইনশাআল্লাহ।’ বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতা হয়ে ওঠা তাসকিনের সাফল্যের রহস্য কী? তাসকিন বললেন, ‘পরিপক্কতা ছিল না বলেই ওখান থেকে শিখে ভালো কিছু দেখাতে পারছি। সামনে আরও ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ। ক্রমে আমরা প্রক্রিয়া অনুযায়ী উন্নতি করছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভুলগুলো বারবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে কি না, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভুলগুলো কিন্তু কমে আসছে যে কোনো ফরম্যাটে। তার মানে আমরা ভুল থেকে শিখছি। প্রক্রিয়াটা দারুণ যাচ্ছে এবং আমরাও শিখতে আগ্রহী।’ বাংলাদেশের তথাকথিত স্পিন রাজ্যে টাইগার পেসারদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো। ফাস্ট বোলারদের নৈপুণ্যে আড়াল হয়ে গেছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। তাসকিন বলেন, ‘সবাই সবার দিক থেকে চেষ্টা করছে। ইউনিট হিসেবে যদি সবাই বিশ্বমানের বোলার থাকি, এই ইউনিটকে সামলাতে কিন্তু অন্যদের সমস্যা হবেই। বড় বড় দলে কিন্তু একটা নয়, চার-পাঁচ জন বিশ্বমানের ফাস্ট বোলার থাকেন। আমরাও চাচ্ছি, আমাদেরও এরকম হোক। যেহেতু আমরা সবাই পরিবারের অংশ, ফাস্ট বোলাররা, ভাইয়ের মতো। সবাই সবার ভালো চাই এবং সবশেষ দুই-আড়াই বছরে উন্নতিও চোখে পড়ছে।’ তাসকিন বলেন, ‘এখনও আমাদের পরের ধাপে যাওয়া বাকি। আমি মনে করি আমরা সঠিক পথে আছি। মানসিকতা ভালো। যদি এই প্রক্রিয়ায় থাকি, আমাদের এই স্বপ্নও পূরণ হবে যে, আমরা সবাই বিশ্বমানের হব।’