অনলাইন
আনন্দবাজারের রিপোর্ট
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় বোর্ড
অনলাইন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২৫ মার্চ ২০২৩, শনিবার, ৩:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০০ অপরাহ্ন

আইপিএলে খেলা নিয়ে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। দেশটির কলকাতাভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়। যেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নেয়া সিদ্ধান্ত ‘দেশের আগে আইপিএল নয়’- এর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে সে দেশের বোর্ড। দেশের আগে আইপিএল নয়, এ কথা স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় বোর্ডও চুপ করে বসে থাকতে চায় না। তারাও পাল্টা কড়া অবস্থান নিতে চলেছে। সাকিবদের ‘ছায়া নির্বাসন’ করা হবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বোর্ডের অন্দরে। এ বারের আইপিএলে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, লিটন দাস এবং মুস্তাফিজুর রহমান খেলছেন।
কী এই ছায়া নির্বাসন?
জানা গিয়েছে, কোনও বোর্ড যদি আইপিএল খেলার জন্যে নিজেদের ক্রিকেটারদের না ছাড়ে বা দেরি করে ছাড়ে, তা হলে ভবিষ্যতে সেই দেশের ক্রিকেটারদের হয়তো আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে না। অর্থাৎ, বাংলাদেশ বোর্ড এ ভাবে অসহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে সাকিবরা আইপিএলে হয়তো কোনও দলই পাবেন না।
আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, “আমাদের অভিযোগ করার কোনও জায়গা নেই। কারণ ক্রিকেটারদের ব্যাপারে বিসিসিআই বাকি বোর্ডগুলির সঙ্গে সমঝোতা করে। কিন্তু পরের দিকে নির্দিষ্ট কিছু দেশের ক্রিকেটার নেওয়া ব্যাপারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সতর্ক হয়ে যাবে। এর আগে তাসকিন আহমেদও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) পায়নি। এখন শাকিবদের ক্ষেত্রেও একই জিনিস। যদি ওরা ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলতে দিতেই না চায়, তা হলে নথিভুক্ত করারই দরকার নেই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ধারণা যে বদলাবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।”
শুধু বাংলাদেশ নয়, একই জিনিস দেখা যেতে পারে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও। এ বারের আইপিএলে শ্রীলঙ্কার চার ক্রিকেটার রয়েছেন। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ় থাকায় প্রথম সপ্তাহে তাঁরা খেলতে পারবেন না। অতীতে ইংল্যান্ড বোর্ডও সে দেশের ক্রিকেটারদের এনওসি দেয়নি।
শুক্রবার বাংলাদেশের বোর্ডের সভাপতি নাজমুল বলেন, ‘‘আইপিএলের জন্য ক্রিকেটারদের কবে ছাড়া হবে, এই প্রশ্ন আমাকে বার বার করা হচ্ছে। আমার উত্তর একটাই। আইপিএলের নিলামের আগে সংশ্লিষ্ট কর্তারা আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কবে থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে। আমি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সূচি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার ভিত্তিতেই নিলামে আমাদের ক্রিকেটারদের নাম রাখা হয়েছিল। এখন অন্য কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।’’
বিসিবি সভাপতি আরও বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের খেলা চলাকালীন শাকিব, লিটন, মুস্তাফিজুরদের জন্য কিছু করা কঠিন। আমার কাছে কোনও বিকল্প উপায় নেই। অনুমতিপত্র দেওয়া হবে, এমন কিছু কখনও বলা হয়নি। এর পরেও এত সংশয়ের কী রয়েছে? বিষয়টা কি পরিষ্কার হচ্ছে না!’’
পাঠকের মতামত
Boycott IPL (Indian Prostitute's League)...
আইপিএল এ তো, আমরা এক প্রকার নির্বাসনেই আছি। বাংলাদেশের খেলোয়াররা সবসময় উপেক্ষিত থেকেছে। সবার আগে দেশ। এই ব্যাপারে কোন আপস নাই।
আনন্দবাজার পত্রিকা সব সময় বাংলাদেশের পিছনে পড়ে থাকে। ভাল দিক গুলো ও খারাপ ভাবে চাপায়। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া সব সময় বিড়ালের মত চুপ থাকে। এটা অসহ্যকর.....!
আইপিএলটা বন্ধ হয়ে যাওয়া দরকার। না হলে ভবিষ্যতে ক্রিকেট খেলাটাই ধংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ এখন আর আগের মত নেই। বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব এদেশেরই একজন।। আইসিসিও তাই বলে। সুতরাং দেশের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সবকিছুই দেখভালের দায়িত্ব বিসিবির।। কোন দেশ এর বিপক্ষে কাজ করে জানা নেই। আইপিএল তার গতিতে চলুক। নো প্রবলেম।
আত্মমর্যাদাবোধ কারো একার সম্পত্তি নয়।বৈষম্য নিরসন হোক,এটাই কাম্য।
Dear BCB President, please dont issue NOC in favour of our Bangladesh cricket players to play in the IPL.
অবশ্যই দেশ আগে। পাপন সঠিক ডিসিশন নিয়েছেন। ইন্ডিয়ানরা দাদাগিরি করবে আর আমাদের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে হবে বিষয়টি দুঃখজনক। আমাদের বিপিএলে ইন্ডিয়ান প্লেয়ারদের খেলার অনুমতি দেয় না ভারতীয় বোর্ড। আইপিএলে না খেলেই পৃথিবীর বহু ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদেরকে সফলভাবে উপস্থাপন করেছেন। সময় এসেছে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের সমর মর্যাদার ভিত্তিতে দেন দরবার করার। বাংলাদেশের বিপিএলে ভারতীয় ক্রিকেটার ছাড় দিতে হবে বাংলাদেশও আইপিএলের সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ছাড় দিবে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নিশ্চয়ই এতোটুকু সম্মান পেতেই পারে কি বলেন দাদারা ?
পাপন্দা ভীষণ সহজ সরল, ডিপ্লোম্যাসি জানেনই না বলতে গেলে
এঁদের অপরিহার্য না ভেবে ছেড়ে দিন। বলাতো মশকিল কোন দিক থেকে কি চাপ আসে!
বিসিবি অনেক টেকনিক্যাল বিষয়ে এখনো অনেক পিছিয়ে। তারা জানেই না সব কিছু পাবলিকলী বলা যায়না।