ঢাকা, ২৮ মে ২০২৩, রবিবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৭ জিলক্বদ ১৪৪৪ হিঃ

ভারত

ভারতে ফাঁসির নিয়ম বদলাতে পারে

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা

(২ মাস আগে) ২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪৫ অপরাহ্ন

mzamin

৪০ বছর আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াই ডি চন্দ্রচুর, আরএস পাঠক এবং সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় একটি রায় দিয়েছিলেন দেশটিতে ফাঁসির পন্থা নিয়ে। তাদের সেই ফাঁসির পন্থা- 'হ্যাং টু নেক' নামে খ্যাত হয়ে আছে। অর্থাৎ মানিলা রজ্জু দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তা টানা- যতক্ষণ না ঘাড়ের হাড় ভেঙে মৃত্যু না হয়।
৪০ বছর পর ১৯৮৩ সালের সেই আইন পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুর। যিনি প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াই ডি চন্দ্রচুরের ছেলে। বাবার দেয়া আদেশকে আরও বেশি সহনশীল, কম কষ্টদায়ক করতে উদ্যোগী হয়েছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচুর এবং পিভি নরসিংহনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিকল্প হিসেবে সামনে এসেছিলো ফায়ারিং স্কোয়াড, ইলেকট্রিক চেয়ার এবং লেথাল ইনজেকশন দেয়ার প্রস্তাব। বিচারপতিদের বেঞ্চ এগুলির সবকটি প্রত্যাখ্যান করেছেন যন্ত্রণাদায়ক ও অমানবিক বলে। বিচারপতি চন্দ্রচুর একটি কমিটি গড়ছেন যাতে থাকবেন চিকিৎসক, মনোবিজ্ঞানী, আইন বিশারদ এবং প্রশাসনিক কর্তারা। যারা এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। চন্দ্রচুর ফাঁসির সংখ্যাও কমিয়ে আনতে চান।

বিজ্ঞাপন
এই মিলিনিয়াম-এ ভারতে ফাঁসি হয়েছে মোট ৮ জনের। ২০০০ সালের ১৫ই আগস্ট হেঁতাল পারেখা নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার জন্যে ধন্যঞ্জয় চ্যাটার্জির ফাঁসি হয়। ২০১২ এর ২১শে নভেম্বর ২৬/১১ জঙ্গি হানায় অভিযুক্ত আজমল কসবের ফাঁসি হয়। ২০১৩ এর ৮ই জানুয়ারি ফাঁসি হয় সংসদ হামলাতে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আফজলের। জঙ্গি ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি হয় ৩রা জানুয়ারি ২০১৫-এর মুম্বই বিস্ফোরণের জন্য। আর নির্ভয়াকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে ফাঁসি হয় একসঙ্গে মুকেশ, অক্ষয়, বিনয় এবং  প্রবীণ এর ২০ জানুয়ারি, ২০২০ সালে।
 

পাঠকের মতামত

India can implement method use bu Saudi Arab. Sword to cut neck. That could be less painful quick death.

Kazi
২৩ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

মানব জাতি বেশী জ্ঞ্যানী বা বেশী পড়াশুনা আবার তার পদমর্যাদা যদি বড় হয়, রাতে তাদের ঘুম হয়না সারারাত অবাস্তব চিন্তা ভাবনা করে সকালে উঠে সংবাদ পত্রিকায় কি প্রকাশিত করবে ঠিকানা পায়না,, তাই অবাস্তব কিছু গুজে দেয় দেশের ভিতর।। রাজিব গান্ধীকে ফুলের মালায় উড়িয়ে দিয়ে সে মুক্তি পায় ৩২ পর, যারা খুন ধর্ষণ হত্যা মত নির্মমতা কায়েম করে৷ বেঁচে থাকার এক চিমটি অধিকার রাখে না, তারা কিভাবে মরলো তাকে নিয়ে গবেষণা করা অতি বুদ্ধির লক্ষন। আমার মনে হয় মৃত্যুর শর্ষায় যারা ছটফট করে মরে, বেচে থাকতে অনুরোধ করে, এসিড বা তেজাব দিয়ে যাদের ঝলসানো হয় তাদের প্রতি খেয়াল করা উচিত,, যারা এমন অপরাধ করে তাদেরকেও এমন করেই হত্যা করা উচিত। তাহলে অনেকে এমন অপরাধ থেকে বিরত থাকবে।

YOUSUF KUWAIT
২২ মার্চ ২০২৩, বুধবার, ২:২৮ পূর্বাহ্ন

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status