খেলা
অ্যাস্টন ভিলা ছাড়বেন না ‘কৃতজ্ঞ’ মার্টিনেজ
স্পোর্টস ডেস্ক
(২ বছর আগে) ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:২৬ অপরাহ্ন

আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরই এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ভেড়াতে উঠে পড়ে লাগে ইউরোপের বড় বড় ক্লাবগুলো। বিশ্বসেরা গোলরক্ষকে পেতে টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখও। তবে এমি মার্টিনেজকে ভেড়ানোর দৌড়ে সফল হয়নি কোনো দল। নিজের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাতেই থেকে গেছেন দিবু। দলবদল নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যে অবশেষে মুখ খুললেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী মার্টিনেজ। বললেন, অ্যাস্টন ভিলার প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি। থেকে যেতে চান ভিলা পার্কেই।
সাল ২০১৭। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে বিমর্ষ একটি ছবি আপলোড দিয়ে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ লিখেছিলেন, ‘আমারও সময় আসবে।’ আর্সেনালের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ তখন স্প্যানিশ লা লিগার দল হেতাফেতে লোনে খেলেন। অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর অবশেষে সময়টা এসেছে মার্টিনেজের। আর্জেন্টিনার গোলবারে কোটি সমর্থকের ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রতিপক্ষের জন্য চীনের প্রাচীর। এমি মার্টিনেজের এমন অবিশ্বাস্য উত্থানের পেছনে অবদান রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলার। বৃটিশ দৈনিক দ্য মিররকে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, ‘এই ক্লাবে যোগ দেয়ার পর আমার ক্যারিয়ার উঁচুতে উঠেছে। আমি সবসময়ই বলে এসেছি, এই ক্লাবের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং এখানে থাকতে ভালোবাসি।’
২০১২ সালে আর্সেনালের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ২০২০ সাল পর্যন্ত গানারদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন তিনি। তবে এই আট বছরে আর্সেনাল থেকে ৬টি ক্লাবে লোনে খেলেছেন দিবু মার্টিনেজ। কখনই কোনো দলের প্রথম পছন্দ হতে পারেননি তিনি। ৮ বছরে ৭ ক্লাবের হয়ে মাত্র ১৩১টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন মার্টিনেজ। হতাশ হননি এমি, হাল ছাড়েননি। ২০২০ সালে অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দিয়ে নৈপুণ্য দেখাতে শুরু করেন তিনি। ভিলা পার্কে ছন্দ দেখিয়ে ২০২১ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে জায়গা করে নেন মার্টিনেজ। তার পরের ইতিহাসটা সবার জানা। গত বছর কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন তিনি। সেমিতে পেনাল্টি শুট-আউটে কলম্বিয়াকে পরাস্ত করেন মার্টিনেজ। এরপর ফিনালিসিমা জিতিয়ে আর্জেন্টিনাকে কাতারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। তাইতো অ্যাস্টন ভিলার প্রতি এমিলিয়ানোর কৃতজ্ঞতাবোধটা এত বেশি।
মার্টিনেজ জানান, ভিলা পার্কে তার পরিবারও সুখেই আছে। তিনি বলেন, ‘এই ক্লাবে আমার পরিবারও সুখী। আমার ছেলেটা এখানকার একাডেমিতে অনূর্ধ্ব-৬ দলে খেলে। এখানে আমরা যে সময় কাটাচ্ছি, তা নিয়ে খুশি। আশা করি, এখানে আরও অনেক বছর থাকতে পারব।’