অনলাইন
এজিএম থেকে আটক ২০ চিকিৎসক রাতে ছাড়া পেলেন
অনলাইন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

জামায়াত নেতাদের বৈঠক ভেবে কসমো ফার্মা ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) থেকে দিনে ২০ চিকিৎসককে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. একেএম ওয়ালিউল্লাহ। তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ একটি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের এজিএম অনুষ্ঠানে আসে। এরপর কথাবার্তা বলার জন্য আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কোনো রাজনৈতিক যোগসূত্র না পেয়ে রাত ১২টার পর আমাদের প্রত্যেককে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ডিবি পুলিশ ধারণা করেছিল এখানে দলীয় কোনো প্রোগ্রাম হচ্ছে। কিন্তু এটি ছিল আমাদের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির বার্ষিক এজিএম। আমরা সেখানে যারা ছিলাম, আমাদের কেউই কোনো ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। প্রত্যেকেই পেশাজীবী চিকিৎসক।
আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবির প্রধান হারুন-অর রশিদ এসে আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।
এ বিষয়ে মহানগর ডিবি প্রধান হারুন-অর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, তাদের জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করা হয়েছিল। তবে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে তাদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বাটা সিগন্যাল এলাকার জিনজিয়ান চাইনিজ রেস্টুরেন্টে হানা দেয় ডিবি পুলিশ। এরপর বেশ কিছুক্ষণ বসে থেকে চিকিৎসকদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন তারা। পরে খাওয়া শেষে ২০ জন চিকিৎসককে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাঠকের মতামত
জামাায়াত কি কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন। তাদের সভা করলে দোষের কী আছে? এরা তো এদেশের নাগরিক। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে সভা সমাবেশ করার সবার অধিকার আছে। এটা পুলিশ এবং সরকারের অতি বাড়াবাড়ি। বেশি বাড়াবাড়ির ফল ভালো না। এজন্য একজন পায়শ্চিত্ত করতে হবে এই সরকারকে।
এদেশে জামায়াতের রাজনীতি করা দেশের সংবিধান ও আদালত নিষিদ্ধ করেনি এখনও। এদেশের জনগনের টেক্সের পয়সায় বেতন ভুক্ত কমচারী পুলিশ কেন জামাত জামাত বলে বাড়া বাড়ী করচে। আজ কোথায় দেশের সংবিধান সবউচ্ছ আদালত। নিরফেক্ষ নিবাচনের কথা বল্লে সংবিধানের দোহাই এখন সংবিধান কোথায়।
মিটিং তো নিষেধ কিছু না।মে কেউ মত প্রকাশ বা জনমত গঠনে কাজ করতে পারে। জামায়াত ভেবে কেন আটক করতে হবে। জামায়াত যারা করে তারা তো এদেশেরই।
আগামীতে হয়তো বিয়ের পানসালাতেও পুলিশ হানা দিবে!
ha ha ha ha..... what a fun!!!
পুলিশের বাড়াবাড়ি দিনদিন সীমা পরিসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এটা কোন পলিটিক্যাল মিটিং নয়। তা জানা স্বত্তেও তাদের থানায় নিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। তাছাড়া ঘরোয়া মিটিং থেকে গ্রেফতার করার চেষ্টা দুঃখজনক। কারণ রাজনীতি কোন নিষিদ্ধ বিষয় নয়। রাজনীতি করার অধিকার এদেশের সকল জনগণের রয়েছে। পুলিশ অতিরঞ্জিত করে যাচ্ছে।