প্রথম পাতা
সাক্ষাৎকার
সরকারের কঠোর তদারকি ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব
তামান্না মোমিন খান
২১ মার্চ ২০২৩, মঙ্গলবার
ব্যবসায়ীদের লোভ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি গোলাম রহমান। লোভের কারণে ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ায় দাবি করে তিনি বলেছেন, শুধু বড় ব্যবসায়ী নন, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারাও লোভে পড়ে দাম বাড়ান। গতকাল টেলিফোনে মানবজমিনকে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। গোলাম রহমান বলেন, আমরা সবসময়ই দেখে আসছি রমজানের সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম থাকে চড়া। এবারও একই অবস্থা। কিছু পণ্যের দাম বাড়ে যুক্তিহীন কারণের জন্য। আবার কিছু পণ্যের দাম বাড়ে যুক্তি সঙ্গত কারণে। যুক্তিসঙ্গত কারণ হচ্ছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। যুক্তিহীন কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের লোভ বাড়ছে। শুধু বড় ব্যবসায়ীরাই নন, পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ী সবার লোভ বাড়ছে এবং দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্যাব সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীরা বলছে দাম আর বাড়বে না। সরকারও বলছে পর্যাপ্ত মজুত আছে দাম আর বাড়বে না। আমরা আশ্বস্ত থাকতে চাই যে, পর্যাপ্ত মজুত আছে এবং সরবরাহের সংকট হবে না। দ্রব্যের মূল্য বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি একশ্রেণির ভোক্তাকে দায়ী করে তিনি বলেন, কিছু ভোক্তা যারা সামর্থ্যবান রোজার আগেই বেশি বেশি পণ্য কিনে রাখে তাহলে কিন্তু বাজারে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় এবং মূল্যও বাড়ে। তাই আমার অনুরোধ থাকবে কোনো ভোক্তা তার টাকা থাকলে জিনিস কিনবে বেশি করে এটা যেন না করে। প্রয়োজন অনুযায়ী যেন জিনিস ক্রয় করে তাহলেও বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকবে। সরকারের উদ্দেশ্যে ক্যাব সভাপতি বলেন, সরকার যেন মনিটরিংটা জোরদার করে। কেউ অসাধু পন্থায় মূল্য বৃদ্ধি করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। আর ব্যবসায়ীদের বলবো- আপনারা স্বাভাবিক লাভ করেন কিন্তু অতিরিক্ত লাভ করবেন না। আমরা আশা করবো রমজান ও ঈদে দ্রব্যমল্য সহনীয় থাকবে।