প্রথম পাতা
নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
স্টাফ রিপোর্টার
২০ মার্চ ২০২৩, সোমবারনাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ অভিযোগ গঠন করেন। খালেদা জিয়া বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বিচারক তার অনুপস্থিতিতে অভিযোগগুলো পড়ে শোনান। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার দাবি করেন খালেদা জিয়া। মামলার অপর ৩ আসামি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৩শে মে তারিখ ধার্য করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার মানবজমিনকে বলেন, আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন। তবে এ মামলার আসামি সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা একেএম মোশাররফ হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ মৃত্যুবরণ করায় অভিযোগ থেকে তাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকো’র সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। অভিযোগ করা হয়- ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩টি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। ২০০৮ সালের ৫ই মে এই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।