বাংলারজমিন
৫ মিনিট লাগবে না মাটির নিচ থেকে বের করে আনতে: শামীম ওসমান
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সোমবার
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক নেতা আছেন নৌকা নিয়া পাস করেন। কে কার ওলির বাপ, কে কার ওলির মা আমরা জানি। তারা স্লোগান দিয়েছে, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম’। এটা কি স্লোগান? আমি জানতে চাই। পাঁচ মিনিটও লাগবে না আমাদের, মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করে আনতে। ধৈর্য ধরেছি। জনগণ ভীমরুলের চাকের মতো আপনাদের সামনে এসে হাজির হবে। আমি সবকিছু বুঝি। বাংলাদেশে খুনের রাজনীতি কায়েম করার চেষ্টা চলছে। ওরা ওদের দলের নেতাদের মেরে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। গতকাল দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীতে এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শামীম ওসমান বলেন, শনিবার রাত থেকে আমি মানসিকভাবে অস্থির। আমি চাপ নিতে পারছি না।
ওরা ক্ষমতায় এসে আমার বাড়িতে হামলা করেছে, আগুন দিয়েছে। আমার দাদার বাড়ি বাইতুল আমান ভেঙে দেয়া হয়েছে। আমার ভাইয়ের খামারে গিয়ে গরুর দুধের বান কেটে ফেলেছিল। শুধুমাত্র আমার ভাই হওয়ার অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে টর্চার করেছে। আমরা কিছু করিনি, মাফ করে দিয়েছি। নারায়ণগঞ্জে স্লোগানের ভাষা সামলান। এমন কোনো কাজ করবেন না, যেন নারায়ণগঞ্জ অস্থির হয়। তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের শাহীনকে হত্যা করা হয়েছে, সুন্দর আলী ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে, আমাদের মোজাফফর ভাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা কি অপরাধ করেছিলাম? কোন খুনী মেরেছিল তাদের? আমরা কী মানুষ না। আমরা মরলে কি আমাদের সন্তানরা কাঁদে না? আমরা মরলে কি আমাদের বাচ্চারা এতিম হয় না? শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আমার তো জীবন শেষ। আমি চলে যাবো। তোমরা থাকবে। আমরা তোমাদের সুন্দর জীবন দিতে চাই। শেখ হাসিনা তোমাদের ভবিষ্যৎ। আমাদের রাজনীতি করার কথা না।
আমাদের ভাইদের মারা হয়েছে, আমরা প্রতিশোধ নেইনি। ওরা আমাদের শৈশবকে মেরেছে। যৌবনকে হত্যা করেছে। আমরা লাশ নিয়ে কবরস্থানে যেতে পারিনি। লাশের মধ্যে গুলি করা হয়েছে। সেই লাশ চানমারীতে দাফন করেছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ হবে আইটি নির্ভরশীল। পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয় থাকবে। আমাদের এখানে শেখ কামাল আইটি ইনস্টিটিউটের কাজ শুরু হচ্ছে। সেটাও এই লিংক রোডের পাশে, টেকনিক্যাল কলেজ অ্যান্ড স্কুল। আমি মেডিকেল কলেজ ও শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই এলাকাটাকে সাজাতে চাই। যেন আমাদের সন্তানদের ঢাকা যেতে না হয়। এম ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নাসিক ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা পরিষদ সদস্য ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, নাসিক ৪, ৫, ৬নং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম প্রমুখ।