খেলা
অন্যরকম লড়াই ঢাকা-চট্টগ্রামের
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা ডমিনেটরস বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) চলতি আসর থেকে ছিটকে পড়েছে অনেক আগেই। শেষ চারে দল দুটির আর খেলা হচ্ছে না। এরমধ্যে টানা ৬ ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে চট্টগ্রাম। আসরে মিলেছে মাত্র দুটি জয়। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে মাত্র ৩ জয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে আছে ঢাকা। আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে তাদের আবারো দেখা হচ্ছে চট্টগ্রামের সঙ্গে। লীগ পর্বে প্রথম দেখায় চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে হেরেছিল ঢাকা। তবে নাসির হোসেনের ঢাকা সুপার ফোরে খেলতে না পারলেও তারা তলানিতে যেতে নারাজ। তাই শেষ ম্যাচ জয় দিয়ে নিচের দিক থেকে নিজেদের এগিয়ে রাখতে চায়। চট্টগ্রামের লক্ষ্য একই। শেষ আসরে সুপার ফোরে খেলা দলটি এবার বাজেভাবে ছিটকে গেছে। যে কারণে এখন তারাও চাইছে শেষ দুই ম্যাচে জয় দিয়ে অন্তত সম্মানজনক ভাবে আসর শেষ করতে। অন্যদিকে সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হবে প্লে-অফ নিশ্চিত করা ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দুই দলই ১০টি করে ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট নিয়েছে। এরমধ্যে রানরেটে এগিয়ে থেকে বরিশাল আছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ও তারপরই অবস্থান কুমিল্লার। দুই দলই শেষ দুই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে নিজেদের আরও এগিয়ে রাখতে মরিয়া। এ বিষয়ে ফরচুন বরিশালের পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সামনে যে দুইটা ম্যাচ আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আগামীকালের (আজ) ম্যাচটি। আমরা ওইভাবেই আগাচ্ছি। আমাদের এখন এত এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ নেই। আমাদের চেষ্টা থাকবে পরের দুই ম্যাচ জিতে এক-দুইয়ে থাকার।’ অন্যদিকে চট্টগ্রামের বিদেশি ব্যাটার মেক্স ও ডাউডও মুখিয়ে আছে জয় দিয়ে আসর শেষ করতে। টানা ৬ ম্যাচ হারের মুখ থেকে ফিরতে চায় তারা। তিনি বলেন, ‘আসলে টানা ছয় ম্যাচ হারে আমরা বেশ পিছিয়ে পড়েছি। কিন্তু আমাদের বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতা উচিত ছিল। কয়েকটি ম্যাচ আমরা বেশ কাছে গিয়েও হেরেছি। তবে ঢাকার বিপক্ষে আমরা জয়ে ফিরতে চাই। এর আগে ওদের সঙ্গে প্রথম দেখায় আমরা জিতেছিলাম। আমাদের লক্ষ্য শেষ দুটি ম্যাচ জয় দিয়ে শেষ করা। অন্তত আসরে সম্মানজনক একটি বিদায় যেন হয়।’ অন্যদিকে কুমিল্লার বিপক্ষে বরিশালের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খালেদ বলেন, ‘আমাদের দলও কিন্তু অনেক ভালো। কুমিল্লার সঙ্গে আমাদের যে খেলা, আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই মুখিয়ে আছি যে ম্যাচটা ভালো খেলতে হবে। এই ম্যাচটা আমরা জিতলে এক-দুইয়ের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’ অন্যদিকে বরিশালের পেসার খালেদ বিপিএলে নিজেকে মেলে ধরতে মরিয়া। টেস্ট বোলার হিসেবে পরিচিত এই পেসার সাদা বলেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চান। তিনি বলেন, ‘বিপিএলে অনেক দিন ধরেই খেলতেছি। কী বলবো সাদা বলে অনেক সময় অনেক ধরনের পরিস্থিতি আসে। টেস্টে এক জায়গায় সবসময় বল করতে হয়। প্রথম ম্যাচ থেকেই আমার চেষ্টা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার। কখন কী বল করা দরকার, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলতেছি। ফাহিম স্যার আছেন আমাদের কোচ উনি আমার সঙ্গে বা আমাদের যে পেসাররা আছে তাদের সঙ্গে আলাদা কথা বলেন, কী পরিস্থিতিতে কী বোলিং করলে ভালো। এমনকি আমাদের ভিডিও এনালিস্টও আমাদের সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ করছেন। ওভারল সিচুয়েশন এডাপ্ট করার অনেক কিছুই শিখছি, শেখার এখনো বাকি আছে আসলে। বিপিএলের পরে বিসিএল শুরু হচ্ছে। আমি বিসিএল খেলবো। ওখানেই আমার লাল বলের প্র্যাকটিস শুরু হবে।’ এ ছাড়াও টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খালেদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সবসময় ব্যাটিং সহায়ক। ব্যাটসম্যানদের সাহায্য বেশি থাকে। আমরা অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমরা যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি কীভাবে রান কম দেয়া যায়। উইকেট স্পোর্টিং যেহেতু চেষ্টা করে যেতে হয়। টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ আসে অনেক কিছু ভালোভাবে এডাপ্ট করার। লাল ও সাদা বলের কালারটা কিন্তু ডিফারেন্ট। অনেক পরিস্থিতি আসে সাদা বলে। লাল বলে শুধু লম্বা সময় একটা জায়গায় বোলিং করতে হয়। সাদা বলে সুযোগটা কম থাকে এক জায়গায় করার। তবে এখান থেকে সুইচ অন করাটা ইজি হয়। সাদা বল থেকে লাল বলে যেতে। তবে লাল বল থেকে সাদা বলে আসতে অনেক সময় সহজ হয় না। এক্ষেত্রে চেষ্টা করছি দ্রুত সুইচ করার।’