শেষের পাতা
সংকটের সাতকাহন
মোদি-মমতার সম্পর্কের হাইফেনে আদানি, বামদের সন্দেহ
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা থেকে
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার(আদানি সাম্রাজ্য’র পতন নাকি ভারতের ওপর সুপরিকল্পিত আক্রমণ? এর প্রেক্ষিতেই প্রশ্নের মুখে পড়লো মোদি-মমতা সম্পর্ক। আজ ধারাবাহিকের তৃতীয় কিস্তি )
এফপিও’র ২০ হাজার কোটি টাকা জনসাধারণ ক্রেতাকে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন গৌতম আদানি। এর দ্বারা তিনি মহান বলে প্রতিপন্ন হলেও রিলায়েন্স-এর মুকেশ আম্বানির কাছে সেরা ভারতীয় ধনীর তকমাটা হারিয়েছেন। আম্বানি এখন ৬ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষ ধনী।
বুধবার ভারতীয় বাজেটের দিনে আদানি পোর্ট এবং স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শেয়ার পড়েছে ১৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার পড়েছে ১০ শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ার পড়েছে ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ, আদানি উইলমারের শেয়ার ৪ দশমিক ৯৯, আদানি পাওয়ার ৪ দশমিক ৯৮, আদানি ট্রান্সমিশন পড়েছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ ছাড়াও আদানি পরিচালিত অম্বুজা সিমেন্ট ১৬ দশমিক ৫৬ এবং এসিসি সিমেন্ট ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ পতনের সম্মুখীন হয়েছে।
২৪শে জানুয়ারি হিনডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট সামনে আসার পর আদানিদের মোট শেয়ার পতনের শতাংশ ৩৮। স্বাভাবিকভাবেই আদানিরা যতই বলুন তাদের সব প্রকল্প চালু থাকবে, কিন্তু একটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
বামদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে আদানিদের বিনিয়োগ মোদি-মমতার সমঝোতা তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। গৌতম আদানি দু’জনের সম্পর্কে হাইফেনের কাজ করেছেন। আদানি গোষ্ঠীকে রেজিস্ট্রেশন ফি’জ এবং স্ট্যাম্প ডিউটি মুকুব করাটা এই সম্পর্কের ফসল বলেই দাবি করেছে সিপিআইএম’র মুখপত্র গণশক্তি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি’র সম্পর্ক নিবিড় হয়েছে এই আদানিদের প্রকল্পকে কেন্দ্র করেই।
যদি এই প্রকল্পগুলো না হয় তাহলে তৃণমূল-বিজেপি’র সম্পর্কে এক শীতলতা আসবে বলে বামদের মূল্যায়ন।