খেলা
শুটিংয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ!
স্পোর্টস রিপোর্টার
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবারশুটিংয়ে ১৯৯০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের দলগত ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন আতিকুর রহমান ও আব্দুস সাত্তার নিনি। অকল্যান্ড কমনওয়েল ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সেরা হয়েছিলেন এ দু’জন। ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ২০০২ সালে ম্যানচেস্টার কমনওয়েলথ গেমসেও বাংলাদেশের হয়ে স্বর্ণ পান আসিফ গোসেন খান। এরপর আবদুল্লাহ হেল বাকি গ্লাসগো ও গোলকোস্ট কমনওয়েলত গেমসেও রৌপ্য জেতেন। সবশেষ ওয়ার্ল্ড শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অষ্টম হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের শুটার কামরুন নাহার কলি। এসএ গেমসেও একাধিক ইভেন্টে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। দেশের সম্ভাবনাময় এই খেলার প্রতি অ্যাথলেটদের আগ্রহ বাড়াতে, যতটা সম্ভব সহজ করে শুটিংকে সাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশন। ক্রিকেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে বিপিএলের আদলেই শুটিংয়েও আসছে বিএসএল (বাংলাদেশ শুটিং লীগ)। দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড় এবং কোচদের নিয়ে এসে দেশের শুটিংয়ে একটি উৎসবের রং দিতে চাচ্ছে ফেডারেশন। সবকিছু এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও এপ্রিল-মে মাসে বাংলাদেশের শুটিংয়ের ইতিহাসে জমকালো এ লীগ আয়োজনে করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। বিভাগগুলোর নামের পাঁচটি দল বানিয়ে তা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে তুলে দেয়া হবে। ব্যক্তিগত কোনো ইভেন্ট নয়, এয়ার পিস্তল এবং এয়ার রাইফেল দলগত বিভাগের লড়াই হবে গুলশানে অবস্থিত শুটিং রেঞ্জে। অনেক তারকার সঙ্গে শুটিং লীগের উদ্বোধনীতে অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী ভারতের অভিনব বিন্দ্রাকে আনারও পরিকল্পনা রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ক্রিকেটের বিপিএল, হকির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে শুটিংই হতে যাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ আয়োজন করতে যাওয়া তৃতীয় ইভেন্ট। এ বিষয়ে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপাতত ট্রায়াল বেসিসে বাংলাদেশ শুটিং লীগ করবো আমরা। এটা শুটার এবং কোচদের জন্যও ভালো হবে। আমাদের শুটিং ফেডারেশনের প্রচার, প্রসারের দরকার আছে। ভবিষ্যতে আমাদের স্পন্সর পাওয়ার জন্য আমরা এই উদ্যোগটা নিয়েছি। যারা আজকে দল কিনবে, তাদের সঙ্গে চুক্তিটা হবে তিন বছরের।’ শুটিংয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ খুব জনপ্রিয় জার্মানিতে। প্রতি বছর বড় এ লীগে ইউরোপের সঙ্গে ভারতের শুটাররাও খেলতে যান সেখানে। সম্প্রতি ভারতও ছোট আকারে শুটিংয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ চালু করেছে। জার্মানির লীগকে মডেল ধরেই পরিকল্পনা সাজানোর কথা জানিয়ে অপু বলেন, আমাদের লীগেও একজন করে আইকন থাকছেন। টপ গ্রেডের শুটার, যারা আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন ছেলে ও একজন মেয়ে পিস্তল এবং রাইফেলে প্রতিটি দলে থাকবেন। পিস্তল টিমে এবং রাইফেল টিমে সমান চারজন করে থাকবেন। এই চারজনের মধ্যে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে বাধ্যতামূলক ইয়ুথ টিমের (১৬ বছরের মধ্যে) নিতে হবে দলগুলোকে। শুটিং ফেডারেশন যে ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম করছে, সেখানে ভালো স্কোর করা শুটারদের একটা তালিকা দেয়া হবে পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। তারাই চূড়ান্ত করবে কাকে কাকে নেবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তিন-চার মাসের মধ্যে আমাদের এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ পাবে।