শেষের পাতা
‘কে নৌকার প্রার্থী আর কে প্রশাসন বোঝার উপায় ছিল না ’
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বৃহস্পতিবার ‘আমি পলাশী যুদ্ধের মতো পরাজয় বরণ করলাম। নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার ৬৫ হাজার সৈন্য নিয়ে ইংরেজদের ৩ হাজার সৈন্যের কাছে যেভাবে পরাজয় বরণ করেন, ঠিক তেমনি বগুড়া সদরে লাখো ভোটার নিয়ে আওয়ামী লীগের হাতেগোনা কিছু ভোটের কাছে পরাজয় বরণ করতে হলো।’ নির্বাচন শেষ হওয়ার ঘণ্টা দুই আগে বগুড়া সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে ভোট চুরি নয় রীতিমতো ডাকাতি হয়েছে। যেখানে বিএনপি’র মতো বড় দল নেই সেখানেও আওয়ামী লীগকে পিছনের দরজা ব্যবহার করতে হলো? নির্বাচনের ধরন দেখে মনে হচ্ছে ক্ষমতাশীন দল বগুড়ায় দেউলিয়া হয়ে গেছে। কে নৌকার প্রার্থী আর কে প্রশাসন বোঝার উপায় ছিল না।’
আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট চুরির নকশা প্রতিনিয়তই পরিবর্তন করে। এখানেও ভোট চুরির কৌশল পরিবর্তন করেছে। ভোটের পাঁচদিন আগে থেকে সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে আসতে বারণ করেছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। লোকজন কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেনি।
আশরাফুল আলম (হিরো আলম) নির্বাচন চলাকালীন সময় তার প্রতিক্রিয়ায় সদরের ভোটের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি সদর আসনে সময় না দিয়ে কাহালু-নন্দীগ্রামের দিকে সকালেই চলে যান।
সদর আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম ওমর বলেছেন ভোট সেন্টারগুলো আওয়ামী লীগ সকাল থেকেই দখল করে রেখেছিল। আমাদের পুলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্পগুলোতে কাউকে থাকতে দেয়নি। প্রশাসনকে অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।
নৌকার প্রার্থী সব ধরনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মানবজমিনকে বলেন, এখানে উৎসবমুখর পরিবেশে লোকজন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে। বগুড়া সদরে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে।
জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করেছি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমরা সব কেন্দ্রে গিয়েছি। সব প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রগুলোতে ছিল।