অনলাইন
দুর্নীতির সূচকে অবনমন, তালিকার ১২ নম্বরে বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের বৈশ্বিক দুর্নীতির ধারণা সূচকে ব্যাপক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০২১ সালে বাংলাদেশ এই তালিকার ১৩তম অবস্থানে ছিলো। মঙ্গলবার বার্লিনভিত্তিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স (সিপিআই) প্রকাশ করে। ঢাকায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিপিআই অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এবছর সূচকে নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ এবং উপরের দিক থেকে ১৪৭। এবার বাংলাদেশ ১০০ স্কোরের মধ্যে ২৫ অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান ও স্কোর যথারীতি বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এবার আফগানিস্তানের স্কোর ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ হয়েছে।
পাঠকের মতামত
Banglamen and their leaders must be proud for being the ROLE MODEL in corruption.
লজ্জা শরম বাঙালি হারিয়ে ফেলেছে । সরকার ও আমলাদের তোষামোদ করার জন্য কোন পদক্ষেপ নেয় না তাছাড়া কর্মী সমর্থকদের সমর্থন ধরে রাখার জন্য, ব্যবসায়ীদের সমর্থন পাওয়ার জন্য এদের কারো বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় না । জনগণের সমর্থন নির্ভর অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকলে জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য অবশ্যই দুর্নীতির লাগাম টানার চেষ্টা করত । যদিও এই তিন শ্রেণী পেশার লোক দুর্নীতি করছে কিন্ত একদিন অবস্থার পরিবর্তন হলে সকল দোষ চাপবে সরকারের শীর্ষ নেতাদের উপর । বিচারের সম্মুখীন হবেন তারা। পাতি নেতা, আমলা, ব্যবসায়ী সবাই রেহাই পাবে সরকারি দলের চামচা সেজে ।
টি আই কে ধন্যবাদ যে ১ নম্বরে রাখেনাই। কারণ দেশের টপ টু বটম যেভাবে দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন সেই হিসেবে তো মাইনাসে চলে যাওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যায়লয়ের শিক্ষক,বিচারক,পুলিশ,প্রশাসন,সরকারি কর্মকর্তা,আমলা,মন্ত্রী দলীয় পাতি নেতা, ব্যবসায়ী কে কোটি কোটি সম্পত্তির মালিক নয়। কেউ তো আছে লক্ষ কোটি টাকার মালিক। এক কোরোনার কৃপায় তো লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়ে গেছে। মানুষ টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারেনা। ২ বেলা ঠিক মতো খাইতে পারেনা এমন লক্ষ লক্ষ শিশু আছে।
১২তম কিংবা ১৩তম এটা বড় বিষয় না। দুনীতি এক ফোটাও কমেনি।
এটা বোধ করি টিআইকে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ভেবে মুফতে পাওয়া ফি বছরের ব্যাধি নির্নয়পত্র । যে কারনে এর নিরাময়ে প্রতিষেধক দেয়া বা গ্রহন করা কারো গরজে নেই। বরং ব্যাধি নির্নয়কারি প্রতিষ্ঠানের অধিকার ও উদ্দেশ্য নিয়ে হৈচৈ করতে দেখা যায়। ফলে ব্যাধিটি জটিল হতে হতে আজ এমন পর্যায়ে এসেছে। জিরো টলারেন্সের উচ্চকিত শারিরিক ব্যয়ামের মহড়া বছরে দু'একবার শুনা যায়। অন্যদিকে লক্ষ শ্রমিকের ঘামে শ্রমে অর্জিত বিদেশি মুদ্রা দলের বশংবদরা পাচার করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে। সময় ফুরিয়ে যাবার আগে এদের ধরুন।
১২তম কিংবা ১৩তম এটা বড় বিষয় না। দুনীতি এক ফোটাও কমেনি। যারা ১ বা ২ এ আছে তাদের দুনীতি আমাদের থেকেও বেশি। এতটুকুই বাকী।