খেলা
১০ বছরে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি জুভেন্টাসের
স্পোর্টস ডেস্ক
৩১ জানুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার
দলবদল বিষয়ক তথ্য গোপন করায় এমনিতেই ১৫ পয়েন্ট খুইয়েছে জুভেন্টাস। তার ওপর ইতালিয়ান সিরি আ’য় টানা দুই ম্যাচে হারলো তুরিনের বুড়িরা। নাপোলির কাছে ৫-১ গোলে হারের পর এবার ঘরের মাঠে পরাস্ত হলো এ সি মোনজা কাছে। রোববার রাতে সিরি আ’র ম্যাচে ২-০ গোলে হারে জুভেন্টাস। চলতি মৌসুমে দুই দেখায় দু’বারই মোনজার কাছে হারলো জুভেন্টাস। গত বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর প্রথম দেখায় ১-০ গোলে পরাজিত হয় জুভরা। গত ১০ বছরে ইতালিয়ান সিরি আ’য় একই দলের বিপক্ষে মৌসুমের দুই ম্যাচ হারের রেকর্ড নেই জুভেন্টাসের। সবশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল দলটির। জুভেন্টাসের বাজে অভিজ্ঞতার রাতে কীর্তি গড়েছে মোনজা। মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে জুভেন্টাসকে ইতালিয়ান সিরি আ’র প্রথম দুই ম্যাচে হারালো দলটি। এর আগে ইন্টার মিলান এই কীর্তি দেখিয়েছিল। ঘরের মাঠ জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে গোলমুখী চেষ্টার কমতি ছিল না ডি মারিয়া-রাবিওদের। প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ২২টি শট নেয় জুভরা। তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৮টি। আধিপত্য দেখাতে না পারলেও মোনজার আক্রমণগুলো ছিল কার্যকরী। ৩টি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রেখে দুটিতে সফল হয় দলটি। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় মোনজা। মিডফিল্ডার হোসে পেপিনের অ্যাসিস্টে গোলটি করেন মোনজার ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক সিওরা। আর ৩৯তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার কার্লোস আগোস্তোর পাসে স্কোরলাইন ২-০ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ড্যানি মোতা। ম্যাচ হেরে হতাশ জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনো ম্যাচ স্মরণ করতে পারি না, যার প্রথমার্ধে এত বাজে খেলেছি আমরা। আমাদের উচিত এতে মনোযোগ দেয়া। বিরতির পর তুলনামূলক ভালো খেলেছি। তবে এই হারে আমাদের পারফরম্যান্সকে দোষারোপ করতেই হয়।’ মোনজা কোচ রাফায়েলে পাল্লাদিনো বলেন, ‘সপ্তাহজুড়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। জানতাম যে, কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে চলেছি। আমরা পূর্ণ স্পৃহা নিয়ে তাদের মোকাবিলা করেছি। ম্যাচের প্রথমার্ধের সদ্ব্যবহার করেছি আমরা। কখনই ম্যাচের গতি হারাইনি। এমন খেলাই আমি দেখতে চাই।’ পাল্লাদিনো বলেন, ‘এটা সত্য যে, বিরতির পর আমরা চাপে ছিলাম। তবে জুভেন্টাসের জন্যও ম্যাচে ফেরা কঠিন ছিল। আমরা শেষ বাঁশি পর্যন্ত খেলায় মনোযোগী ছিলাম। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে ছেলেরা। আমরা খুব আনন্দিত।’