বাংলারজমিন
ববিতে ভোররাতে হেলমেটধারীদের হামলা দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে হেলমেট পরে একদল যুবক ঢুকে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল ভোর রাতে হলটির ৪০১৮ নম্বর কক্ষের এ ঘটনায় আহত দু’জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত ও জিএম ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী। এদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাদের একটি গ্রুপ আছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের একাংশ এই হামলা সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী হলের আবাসিক ছাত্র জিয়া বলেন, ফজরের আজানের পর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ করে ১০-১৫ জন হেলমেট পরা অবস্থায় হলে প্রবেশ করে। তারা হলের প্রতিটি রুম বাইরে থেকে ছিটকিনি দিয়ে আটকে রাখে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতকে রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে হাতুড়ি পেটা এবং জিএম ফাহাদের হাত ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি দু’জনকেই কুপিয়ে জখম করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর বলেন, ম্যাথমেটিক্স ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র সিফাত ও লোকপ্রশাসন ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র ফাহাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখছে।
আহত জিএম ফাহাদ বলেন, হামলাকারীরা হেলমেটধারী ছিল। তবুও তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। হামলাকারী আলীম সালেহী, অমিত হাসান রক্তিম, রিয়াজ মোল্লা, সৈয়দ জিসান আহম্মেদ ও বাকিকে চিনেছি। এরা আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। হামলার অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লা বলেন, সিফাতের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা সিফাতের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তাকে প্রতিহত করেছে বলে আমার ধারণা। তিনি বলেন, এ ছাড়া সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বহু মানুষ তার ওপর ক্ষিপ্ত। এখন মূলত কারা তার ওপর হামলা করেছে সেটা বলতে পারবো না। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত সিফাতের শরীরে ফোলা জখম রয়েছে এবং ফাহাদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমের চিহ্ন পাওয়াসহ তার হাতও ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, ঘটনা শুনে তারা কাম্পাসে গিয়েছিলেন। হামলাকারী কারা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেননি আহতরা। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।