দেশ বিদেশ
দারোগার গভীর অনুসন্ধান, তাজ্জব সাকিনা
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৫ জানুয়ারি ২০২৩, বুধবারজোরপূর্বক জমি থেকে ধান কেটে নেয়া, অত্যাচার-নির্যাতন করার অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদৌলত গ্রামের সাকিনা বেগম আদালতে মামলা করেন। গত বছরের ১১ই ডিসেম্বর দায়ের করা মামলার তদন্তভার দেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে। গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাব-ইন্সপেক্টর শুভ পালের তদন্তে তাজ্জব বাদী। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাকিনা বেগমের স্বামী সৌদি প্রবাসী। বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক না থাকার সুযোগে গ্রামের সায়েদ মাস্টার, জসিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, হানিফ মিয়া, নুরু মিয়া, জুনাইদ মিয়া, আলম মিয়া, শাহজালাল, ইলিয়াছ বাবুল, জলিল মিয়া, নুর ইসলাম, মাসুম, নজরুল ইসলাম, নাইম মিয়া তার জমি থেকে জোরপূর্বক ১৫ মণ ধান কেটে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সাকিনাকে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়। গত ১১ই জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হয় আদালতে। এতে সরজমিন বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার উল্লেখ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা শুভ পাল বলেন-‘সাক্ষীদের জবানবন্দি এবং স্থানীয় তদন্তে এজাহারের সমর্থনে মতামত পাওয়া যায়নি এবং বাদীকে মারধরের দালিলিক তথ্য তথা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। গোষ্ঠীগত এবং পারিবারিক কলহের জেরে প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে কাল্পনিক ঘটনার অবতারণা করে মামলার সৃষ্টি। ঘটনার গভীর অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া যায়, বাদিনীর স্বামী সেলিম মিয়া অনুমান ২০০৩/২০০৪ সালে দানিছ মিয়ার কাছ থেকে উল্লেখিত তফসিলের জমি মৌখিকভাবে ক্রয় করেন এবং ২০০৭ সালে একইভাবে সায়েদ মাস্টার ও জনৈক নজরুল ইসলামের কাছে আবার বিক্রি করে দেন। এরপর থেকে বিবাদীরা এই সম্পত্তি চাষাবাদের মাধ্যমে ভোগদখলে আছেন।’ এই তদন্ত রিপোর্টে তাজ্জব হয়েছেন সাকিনা। তিনি জানান, ২৩ শতক পরিমাণ জমি ক্রয়ের দলিল রয়েছে তার। তিনি দানিছ মিয়ার কাছ থেকে ১৯৯৯ সালে জমিটি ক্রয় করেন। দানিছ মিয়া জমির মালিক হন তারু মিয়ার কাছ থেকে। এই ভায়া দলিলটিও আছে। কিন্তু দারোগা তদন্ত রিপোর্টে বলেছেন, জমি ক্রয় করেছি মৌখিকভাবে। তাছাড়া মামলায় তিনি যাদের সাক্ষী করেছেন তাদের বক্তব্য না শুনে মনগড়া বক্তব্য লিখেছেন। আমার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো যোগাযোগ করেননি। আমার ফোনও ধরেন না। সাক্ষী রানু বেগম বলেন, দারোগার সঙ্গে তার দেখাই হয়নি। মনিরুজ্জামান জানান, আমার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তার কথা হয়নি। মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষী মানিক মিয়া, রতন মিয়া, আবুল খায়ের সর্দার ও পারভীন বেগম একই কথা জানান। তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শুভ পাল জানান, তিনি সঠিক তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছেন।