অনলাইন
এখন থেকে স্কুলে শিক্ষার্থীদের আলিঙ্গন এবং প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ মাস আগে) ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার, ৪:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫২ পূর্বাহ্ন

শিক্ষার্থীদের মধ্যে শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করেছে চেমসফোর্ড, এসেক্সের হাইল্যান্ডস স্কুল। তাদের দাবি শিশুদের নিরাপদ রাখতেই এই পদক্ষেপ। উচ্চবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এবার থেকে শিক্ষার্থীরা একে অপরকে স্পর্শ করতে এবং কোনো রোমান্টিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না। স্কুলটির এই নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অভিভাবকদের একাংশ। তাদের দাবি এই ধরনের নিয়মের জেরে শিশুরা নিজেদের শৈশব হারিয়ে পেশাদার আচরণ শেখার দিকে এগিয়ে যাবে। প্রধান শিক্ষক মিস ক্যাথরিন ম্যাকমিলানের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে যে স্কুলের কর্মীরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'কোনও শারীরিক যোগাযোগ' অনুমোদন করবেন না।
একজন অভিভাবক ব্যাখ্যা করেছেন, তারা ৯ জানুয়ারি পাঠানো চিঠির আগে নতুন নীতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলছেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এই যুগে, এরকম কোনো নিয়ম থাকতে পারে । একদিকে স্কুল বলছে একে অপরকে স্পর্শ করতে পারবে না, এদিকে স্কুল শিক্ষার্থীদের শেখাচ্ছে না কিভাবে একটি সুস্থ সম্পর্ক রাখতে হয়। শিশুরা জানে না কোনটি উপযুক্ত বা কোনটি নয়, এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে তাদের সহপাঠিদের সাথে সহানুভূতি দেখানোর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমার একটি মেয়ে আছে।
এদিকে অভিভাবকরা বলছেন কোনো বন্ধু পড়ে গেলে তাকে সাহায্য করতে ওপর বন্ধু সাহায্যের হাত বাড়িয়েই দেবে। এটাই স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু এখন তারা সেসব করতে না পারলে ক্রমে একে ওপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। কারণ মহামারীর পরে এমনিতেই মানুষের মধ্যে যোগাযোগ কমে গিয়েছিলো স্কুলের এই নতুন নিয়মের নিগড়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা আবারো সেই পুরোনো দিনগুলিতে ফিরে যাবে। যার প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ।হাইল্যান্ডস স্কুলের নির্বাহী প্রধান শিক্ষক মিসেস মার্গারেট ক্যালাগান বলেছেন: ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদ এবং খুশি থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সবসময় অভিভাবকদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি।অধিকাংশ পিতামাতা এবং ছাত্ররা এই নীতিকে সমর্থন করে যা পারস্পরিক শ্রদ্ধার জন্ম দেয় এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য পেশাদার আচরণ করতে উত্সাহিত করে। ''
সূত্র : metro.co.uk
পাঠকের মতামত
পাশ্চাত্যের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এহেন দুঃসাহসী সৎ সিদ্ধান্ত নেয়া দেখে যেমন অবাক হয়েছি তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ব্যাপারে আশার আলোও দেখছি ! আমাদের দেশে যদি এমন কিছু হত তাহলে অনেকের চেতোনার দন্ড খাড়ায় যাওয়ার কারনে অন্তত ৭/৮ জনের মানব বন্ধন অবশ্যই দেখা যেত !!
Very good decision. Actually need to stop coeducation system
নৈতিক অবক্ষয়ের এই সময়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়টির এই পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তবে যে সব অভিভাবক এর বিরোধিতা করে তাদের নিয়ে কাউন্সিলিং করা যায়।
সহশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ছেলেদের জন্য আলাদা স্কুল, মেয়েদের জন্য আলাদা স্কুল হওয়া উচিত।