প্রবাস
বড়দিন উদযাপনে প্রস্তুত ইতালি
ইসমাইল হোসেন স্বপন. ইতালি প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার, ৪:৩৪ অপরাহ্ন

বড়দিন উদযাপনে প্রস্তুত খ্রিষ্টধর্মের সূতিকাগার ইতালি। দেশটির ছোট-বড় প্রতিটি শহর, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি সেজেছে আলোক সজ্জায়। দেশজুড়ে বসেছে বড়দিনের অসংখ্য মেলা বা অস্থায়ী বাজার। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়দের পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। গত দুই বছর করোনার দখল কাটিয়ে এবছর স্বাভাবিক রূপে ফিরেছে বড়দিনের উৎসব আয়োজন। যদিও জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় আলোক সজ্জায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে ব্যবসা বাণিজ্য ও লোক সমাগম ভালো বলে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা। খ্রিষ্ট প্রথম শতাব্দী থেকে বড় দিনের উৎসবের ইতিহাস ইতালির সঙ্গে মিশে আছে ওতপ্রোতভাবে। প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বড়দিনের উৎসব উদ্দীপনা যা দেশটির কৃষ্টি, দর্শন ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিপূরক হিসেবে মিশে আছে। সেই সঙ্গে বিশ্বময় বড়দিনের উৎসব ছড়িয়ে দিতে ইতালীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। তাই যীশুর পবিত্র আগমনী জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর বা বড়দিনের এই দিবসটি উপলক্ষে সমগ্র ইতালির ছোট-বড় সব শহরে চলছে ক্রিসমাস পার্টি, বর্ণিল আলোক সজ্জা ও অস্থায়ী মেলা। অপরূপ সাজে সেজেছে রোম, মিলান, ভেনিসসহ সবগুলো বড় শহর। জ্বালানি সংকটের জন্য আগের মতো বড় মাপের বিশাল আলোক সজ্জা না থাকলেও প্রতিটি শহরে বসেছে বড়দিন উপলক্ষে অস্থায়ী মেলা। ক্রিসমাস সামগ্রী, ঐতিহ্যবাহী রকমারি খাবার, চকলেট, ক্যান্ডি,শীতের পোশাক এবং পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে এসব মেলায়। যার মধ্যে রয়েছে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বড়দিনের মেলায় বিক্রি ভালো বলে খুশি প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।
করোনার দখল কাটিয়ে এবছর বড় দিনের উৎসব আনন্দ আবার ফিরেছে আগের মতো সমহিমায়। বিশাল শপিং মল থেকে রাস্তার পাশে বড়দিনের অস্থায়ী মেলায় কেনাকাটা ও লোক সমাগমে মিলছে এর প্রমাণ। এতে করে ইতালির অর্থনীতিতে আসবে সুবাতাস এমনটা ধারণা করছেন অর্থ ও বাজার বিশ্লেষকেরা।
পৃথিবীর প্রায় সবদেশে বড়দিনের উৎসব আনন্দের প্রভাব পড়ে। কেবল এই একটিমাত্র উৎসবে সরকারিভাবে ছুটি থাকে সমগ্র পৃথিবীর প্রায় সবকটি দেশে। তাই বড়দিনের আলোক সজ্জার মতো শান্তির পরশ ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়, এমনটাই প্রত্যাশা যীশু প্রেমিক খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের।