ঢাকা, ১৯ মে ২০২৪, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ কম খাচ্ছে- সিপিডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৮ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

 বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করে, মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখীর কারণে মানুষ কম খাচ্ছে। অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ   মাংসসহ বিভিন্ন আমিষ জাতীয় খাবার। রাজধানীর চার সদস্যের পরিবারের খাবারের পেছনে মাসে গড়ে খরচ ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা বলেও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে ব্যাংক সেক্টর ক্রমাগত দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির অব্যাহত চাপ, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, খেলাপি ঋণ বাড়ছে, দেশীয় মুদ্রামানের পতন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে আসা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন ইত্যাদি। এসব সংকট মোকাবিলায় জাতীয়ভাবে নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি বলে মনে করে সিপিডি।

শনিবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘সংকটে অর্থনীতি: কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে?’ শীর্ষক এক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে সিপিডি’র পক্ষে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব তথ্য তুলে ধরেন। এতে সিপিডি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। 

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তার চেয়েও বেশি হারে বাড়ছে স্থানীয় বাজারে পণ্যের দাম। বিশেষ করে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমলেও স্থানীয় বাজারে সেই প্রভাব নেই। অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যের দামও কারণ ছাড়া ঊর্ধ্বমুখী।

বিজ্ঞাপন
এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি রয়েছে। লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে অনেকেই খাদ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন আমিষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির লাগামহীন অবস্থার কারণে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ কঠিন অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। শুধু আমদানি পণ্য নয়, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। এটা কমার কোনো লক্ষণ নেই।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে ফাহমিদা বলেন, মূল্যস্ফীতি যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকে আরও ঘনীভূত হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বড় কারণ হলেও আগে থেকেই মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারের পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা বড় কারণ। এর ফলে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। আগে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমতো। কিন্তু এখন দুটোই সমানতালে বেড়ে চলছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তুলনা করলেও অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেই মূল্যের ঊর্ধ্বগতি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে চাল, গম, ভোজ্য তেল, চিনি কিংবা গরুর মাংসের মূল্যের ক্ষেত্রে এমন প্রবণতা রয়েছে। অর্থাৎ খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি হারে বাড়ছে।

ঢাকায় একটি পরিবারের মাসিক খরচ নিয়ে সিপিডি জানায়, বর্তমানে রাজধানীতে বসবাসরত চার সদস্যের একটি পরিবারের মাসে খাদ্য ব্যয় ২৩ হাজার ৬৭৬ টাকা। এটাকে রেগুলার ডায়েট বলছে সিপিডি। এখানে ১৯টি খাদ্যপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মাছ-মাংস বাদ দিলেও খাদ্যের পেছনে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা। এটা ‘কম্প্রোমাইজড ডায়েট’ বা আপসের খাদ্যতালিকা। বেতন প্রতিবছর ৫ শতাংশ বাড়লেও সেটা রেগুলার ডায়েটের ব্যয়ের তুলনায় অনেক কম বলেও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের যে আয় তা দিয়ে খাদ্যপণ্য কিনে টিকে থাকা কঠিন।

ফাহমিদা খাতুন তার প্রবন্ধে বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ খাবার খাওয়া কমিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। এতে উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এজন্য মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত স্থিতিশীলতার জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবুজ উদ্যোগ বাড়ানোর বিকল্প নেই।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানামুখী সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতির অব্যাহত চাপ, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা, সংস্কার পদক্ষেপ নেই, খেলাপি ঋণ বাড়ছে, দেশীয় মুদ্রামানের পতন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কমে আসা, বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন ইত্যাদি। এসব সংকট মোকাবিলায় জাতীয়ভাবে লক্ষ্য নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি বলে মনে করে সিপিডি।

ব্যাংকিং খাত নিয়ে ফাহমিদা বলেন, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা কোভিডের কিংবা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে নয়। এই খাত দীর্ঘদিন ধরে দুর্বলতার মুখোমুখি। বহু বছর ধরেই সংকটের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। ঋণ খেলাপি বেড়েই চলেছে। সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে এই খাত ক্রমাগতভাবে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের ক্ষেত্রে বড় দুর্বলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছ। খেলাপি ঋণের উন্নতি না হলে এ ধরনের ঘাটতি রয়েই যাবে। খেলাপি যা বলা হচ্ছে বাস্তবে এর পরিমাণ অনেক বেশি। আইএমএফসহ সংশ্লিষ্টরা এটা বারবার বলেছে। তাদের ধারণা, সব সূচক যদি বিবেচনায় নেয়া হয়, তাহলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। বর্তমানে যোগ হয়েছে ব্যাংকের তারল্য সংকট। আর একটি বিষয় হচ্ছে ঋণ ও সঞ্চয়ে আরোপিত হারও ব্যাংকিং ডিপোজিটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

সিপিডি বলছে, দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ গত ১০ বছরে ৩ গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০১২ সালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪২৭.২৫ বিলিয়ন টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩৪৩.৯৬ বিলিয়ন টাকা। তবে আদালতের স্থগিতাদেশ আছে এমন ঋণ এবং পুনঃতফসিলকৃত ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও বেশি হবে।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৯.৩৬ শতাংশ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে আগে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় ছিল। কিন্তু এখন সেই জায়গায়ও অস্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মুদ্রার বিনিময় হার, রিজার্ভ ব্যবহারের দুর্বলতা, ট্রেড ইনভয়েসিংয়ের কারণে অর্থ পাচার ইত্যাদি। এসব কারণে এক ধরনের ভঙ্গুরতা লক্ষ্য করা গেছে।

রিজার্ভের বিষয়ে সিপিডি বলছে, রিজার্ভের হিসাব নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। রিজার্ভের কারণে এলসি খোলা কিংবা আমদানির ক্ষেত্রে চাপ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি বাড়লেও কারেন্ট হিসাব ব্যালেন্স নেতিবাচক। রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে এসেছে। বিদেশে মানুষ যাওয়ার প্রবণতা বাড়লেও রেমিট্যান্স বাড়ছে না। এখানে হুন্ডি মার্কেটের বিরাটভাবে প্রভাবিত করছে, সরকারের আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা থাকা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স বাড়ছে না। এটা একটি চিন্তার বিষয়। বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের কারণে অপ্রয়োজনীয় এলসি খোলার প্রবণতা কমেছে।

আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সিভিল সোসাইটিতে ভয়ঙ্কর মিসম্যাচ আছে। এটা সিরিয়াস সমস্যা। আপনারা অর্থনীতিতে কালো মেঘ দেখছেন, আমি দেখছি সিলভার রেখা। আমাদের ঘাটতি আছে স্বীকার করছি। কোভিডের মধ্যেও আমাদের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ছিল। অনেক জায়গায় আমরা ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। এখন আর ১০ বছরে জনশুমারি হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেনেশুনেই আমরা অর্থনীতি চালাচ্ছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এখানে ভুল নীতি প্রণীত হচ্ছে। হোটেলে বসে মুদ্রানীতির প্রধান চলকগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অদ্ভুত! আগে কোনোদিন এ রকম ঘটনা শুনিনি। মার্কিন ডলারের ৪ রকমের দর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। বলেন, নগদ জমার হার (সিআরআর) ও বিধিবদ্ধ জমা (এসএলআর) মাফ করে দেয়ার ঘটনাও এখন ব্যাংক খাতে দেখা যাচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে এত দুর্বল হলে চলবে কী করে?

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থনীতিতে কী ঘটেছে, বিভিন্ন ঘটনায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়। অভ্যন্তরীণ চাহিদা যেহেতু বাড়ছিল, সেহেতু এর ব্যবস্থাপনাটা দেখার দায়িত্বের কথাও এসে যায়। মূল্যস্ফীতি যখন বাড়তে থাকলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন কী করলো? জাহিদ হোসেন বলেন, যে মুদ্রানীতির কথা আমরা শুনেছিলাম, তাতে সংকোচনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তথ্য-উপাত্তে তা আর দেখা যায়নি। 

পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সমস্যা নীতি প্রণয়নে। ভারতের মূল্যস্ফীতি ৫.৮৮ শতাংশ। তারপরও তারা সুদের হার বাড়িয়েছে। সরকার বলছে, জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে সংকট কেটে যাবে। আমি বিশ্বাস করি না। ব্যাংক খাতের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে আহসান মনসুর বলেন, খারাপ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মানুষ ভালো ব্যাংকে রাখছে। দেখলাম যে ব্র্যাক ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধি ৩৪ শতাংশ। এত প্রবৃদ্ধি আমরা আশাই করিনি।

সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, দেশের অর্থনীতি নীতিহীন অর্থনীতির দিকে যাচ্ছে। আমরা সংসদে ভুলগুলো উত্থাপন করলে, তা উত্থাপন পর্যন্তই থাকে। বর্তমানে যেভাবে ব্যাংকে লুট চলছে, বৃটিশরাও এভাবে এ দেশ লুট করেনি। চাটার দল আস্তে আস্তে ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। ২৫ বিলিয়ন রিজার্ভ নিয়ে এত শঙ্কা কেন সরকারের। এ ছাড়া যে মেগা প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছে তা থেকে মেগা ইনকাম আসছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ডিনার করে ফুর্তি করা না। প্রচুর মানুষ কীভাবে বিদেশে বাড়ি বানিয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করুন। আমরা দেশে দক্ষ লোক না বানিয়ে অদক্ষ ভিখারি বানিয়ে ফেলেছি। আর এ অর্থনীতির সংকটে আমরা অর্থমন্ত্রীকে দেখতে পাচ্ছি না। তিনি পদ্মফুলের মতো বছরে একবার ফোটেন।

সংলাপে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, সাবসিডি (ভর্তুকি) যদি দিতেই হয়, তাহলে পুঁজিবাজারে দেন। গ্রামীণফোনের মতো কোম্পানির বিরুদ্ধে সরকার এমনভাবে সিদ্ধান্ত নিলো! ফলে তার দাম এত কমে গেছে যে, বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত। আর বিএসইসি’র ফ্লোর প্রাইস দিয়ে তো শেয়ারবাজার চালানো যায় না।

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status