আদালত অবমাননা মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে আদেশ ১৯শে জুন

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের আদালত অবমাননার অভিযোগের মামলায় আগামী ১৯শে জুন চূড়ান্ত শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর ২ সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ  মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং প্রসিকিউটর শহিদুল ইসলাম সরদার ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে অংশ নেন। এ সময় অন্য প্রসিকিউটররা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনাসহ দুই আসামি এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল শেষ সুযোগ দিয়েছেন। ১৯শে জুন এ বিষয়ের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। সেদিন ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বা আদেশ দেবেন।

গত ৩০শে এপ্রিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুলের মধ্যে একটি কথোপকথন ভাইরাল হয়। বুলবুলের উদ্দেশ্যে হাসিনা বলেন, আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এ ছাড়াও যারা হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করারও নির্দেশ দেন। এমনকি পুলিশ অফিসারদের হুমকি দিয়ে হাসিনা বলেন, তারা যেন মনে রাখে, তাদেরকে ভবিষ্যতে এ চাকরি করতে হবে। 

এই বক্তব্যের মাধ্যমে তারা ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা, সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখানো এবং যেসব মামলা ট্রাইব্যুনালে রয়েছে সেগুলোকে প্রি-জুডিস করার চেষ্টা আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। পরে গত ৩০শে এপ্রিল আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করে ২৫শে মে অথবা তারও আগে, নিজে অথবা কৌঁসুলির মাধ্যমে হাজির হয়ে জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত না করায় সর্বশেষ সুযোগ হিসেবে শেখ হাসিনা ও বুলবুলকে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে ৩রা জুন হাজির হতে নোটিশ জারি করে ট্রাইব্যুনাল। দেয়া হয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি। কিন্তু গতকালও অভিযুক্তরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হননি।