শেষের পাতা
ভালো নেই সার্জেন্ট মহুয়ার বাবা
মরিয়ম চম্পা
১৪ মে ২০২২, শনিবার
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে প্রাইভেটকারের চাপায় গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ডিএমপি’র সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের বাবা মনোরঞ্জন হাজং। রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। একটি পায়ে গুরুতর কিছু ফ্যাকচার হয়েছে। হারিয়েছেন পায়ের বোধশক্তি। শিগগিরই তার শরীরে পুনরায় অস্ত্রোপচার করতে বারডেম হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করতে হবে। শারীরিকভাবে তিনি ভালো নেই। এদিকে শুরু থেকে একাই সাবেক বিজিবি’র সদস্য বাবা মনোরঞ্জন হাজংকে নিয়ে লড়াই করছেন মেয়ে মহুয়া হাজং। এ ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তের উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গুরুতর আহত মনোরঞ্জন ডায়াবেটিস, হার্টসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকায় একাধিকবার তাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে। প্রথমে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান পরে বারডেমে চিকিৎসাধীন ছিলেন বেশ কিছুদিন। পরে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সার্জেন্ট মহুয়া হাজং মানবজমিনকে বলেন, বাবার শরীরে পুনরায় অস্ত্রোপচার করতে হবে। চলতি সপ্তাহে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করার কথা থাকলেও আগামী সপ্তাহে তাকে ভর্তি করা হবে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট রয়েছে এগুলো সম্পন্ন করে অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বাবার পুরোপুরি সেরে উঠতে আরো অনেক দিন লাগবে। দুই এক বছরের মধ্যে তার পুরোপুরিভাবে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। মামলার তদন্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, পিবিআই মামলার তদন্ত করছে। সম্প্রতি পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা হাসপাতালে এসেছিলেন। বাবাকে দেখে গেছেন।
গত বছরের ২রা ডিসেম্বর রাত সোয়া দুইটায় রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের চেয়ারম্যান বাড়ি ইউটার্নে দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন বিজিবি’র সাবেক হাবিলদার মনোরঞ্জন হাজং। তিনি ২০০৪ সালে বিজিবি থেকে অবসরে যাওয়ার পর বনানীর একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পরে মহুয়া হাজংয়ের করা মামলাটি আমলে নেয় বনানী থানা পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানসহ প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো পেলে মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।