বাংলারজমিন
পাবনায় প্রধান শিক্ষকের হাতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক লাঞ্ছিতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে
৩ নভেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবারপাবনা সদরের দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের হাতে এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম আব্দুল হক (৫৩)। ভুক্তভোগী শিক্ষক এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও আতাইকুলা থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষকের পক্ষে স্বাক্ষর দিয়েছেন একই বিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষক।
লিখিত অভিযোগে আব্দুল হক জানান, গত ২০শে অক্টোবর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকেন। এ সময় তিনি নিষেধ করলে আনোয়ার হোসেন তার শার্টের কলার ধরে ধাক্কা মেরে অফিস রুমের ফ্লোরে ফেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এ ছাড়াও তাকে স্কুলের আসার পথে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকিও দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, ‘শিক্ষার্থীদের বেতন ও ফি-সহ বিভিন্নভাবে কালেকশন করা টাকা শিক্ষকদের মাঝে বিতরণের জন্য ‘অর্থ কমিটি’ করা হয় জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আব্দুল হকের নেতৃত্বে। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুলের কালেকশনের টাকা আব্দুল হক অন্য শিক্ষকদের মাঝে বিতরণ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এর বিরোধিতা করেন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আব্দুল হককে তার রুমে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তার কাছে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেন এবং লাঞ্ছিত করেন। পরে অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’
পাবনা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি-লাঞ্ছিত করার কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে কয়েকদিন আগে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানিয়েছিলেন স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলের কালেকশনের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। এর বাহিরে কিছু জানি না।’
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলতে চান নাই প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। পাবনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুস্তম আলী হেলালী বলেন, অভিযোগ পেলে অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্ত’র বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বিষয়টি তদন্তের দায়িত্বে থাকা দুবলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি সরজমিন তদন্ত করেছি। ঘটনাটা পুরোপুরি সত্য নয়। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। কিন্তু মারধর বা টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।