বাংলারজমিন
সখিনা খাতুনের দুঃখের শেষ নেই...
হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা) থেকে
১৪ মে ২০২২, শনিবার
প্রায় ৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধা সখিনা খাতুন। ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফুলবাগিচা এলাকার উকিলবাড়িতে বাস করেন তিনি। তার স্বামী হানিফ মিয়া পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন অন্তত ৪০ বছর আগে। সখিনা-হানিফের দাম্পত্য জীবনে এক মেয়ের জন্ম হয়। কাজের খোঁজে প্রায় ৩০ বছর আগে চট্টগ্রাম চলে যান একমাত্র মেয়ে নাজমা বেগম। এখনো ফেরেননি নাজমা। খোঁজও নেন না বৃদ্ধা মায়ের।
এদিকে, স্বামী-সন্তান হারা অসহায় সখিনা খাতুনের দুঃখের যেন শেষ নেই। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় একবেলা খাবার জুটলেও অন্য বেলায় না খেয়ে থাকতে হয় সখিনা খাতুনকে। সখিনা খাতুনের মাথা গোঁজার একমাত্র বসতঘরটিও নড়বড়ে। দয়া করে ওই জমিতে থাকতে দিয়েছেন জমির মালিক। তবে বৃষ্টির পানি পড়ে পুরো ঘরজুড়ে।
প্রতিবেদককে সখিনা খাতুন বলেন, গত কয়েক বছর বিধবা ভাতা পেলেও এখন কী জানি সমস্যা হয়েছে, তাই এখন আর ওই ভাতাও পাচ্ছি না। বয়স হয়েছে। হাঁটতে হয় লাঠিতে ভর করে, তাও ঠিকমত হাঁটতে পারি না। তাই প্রতিবেশীরা যা দিয়ে যায় তা দিয়েই কোনো রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে আছি। সরকারের কাছে দাবি মৃত্যুর আগে যেন একটি ভালো ঘরে থাকতে পারি। লালমোহন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সব সময় সখিনা খাতুনকে সহযোগিতার চেষ্টা করি। এছাড়া তার ঘরটি নতুন করে নির্মাণ বা মেরামত করা যায় কিনা তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবো।