বাংলারজমিন
চবি শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন
প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি, কাজে ফিরেছেন ভিসি’র পিএস রবিন
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২২, বুধবারচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আলোচিত শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ভিসি’র বহিষ্কৃত পিএস খালেদ মোকার রবিনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ করতে পারেনি। পরে হাইকোর্টের এক আদেশে তিনি আবার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৬ই মার্চ চবি ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ভিসি ড. শিরীন আক্তারের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মোকাম রবিনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে এই ঘটনায় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মঈনুল হক মিয়াজীকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ৬ই জুলাই ৮ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। আবার অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতও করতে পারেনি তারা। তবে সেই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের ৪ নম্বর কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অভিযুক্ত কর্মকর্তা রবিন তদন্ত কমিটির কাছে সদুত্তর ও বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি এবং সত্য প্রকাশ করেননি বা কিছু গোপন করেছেন।’
এদিকে তদন্ত কমিটির সেই প্রতিবেদন নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এই ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ভিসি’র পিএস পদসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া রবিন। পরে গত ১লা সেপ্টেম্বর সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর দ্বৈত বেঞ্চ রবিনের বহিষ্কারাদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে তাকে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের অনুমতিও দেন। এরপর তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন।