ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

চবি শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন

প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি, কাজে ফিরেছেন ভিসি’র পিএস রবিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৬ অক্টোবর ২০২২, বুধবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আলোচিত শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ভিসি’র বহিষ্কৃত পিএস খালেদ মোকার রবিনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ করতে পারেনি। পরে হাইকোর্টের এক আদেশে তিনি আবার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৬ই মার্চ চবি ফারসি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ভিসি ড. শিরীন আক্তারের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মোকাম রবিনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে এই ঘটনায় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মঈনুল হক মিয়াজীকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত ৬ই জুলাই ৮ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। আবার অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতও করতে পারেনি তারা। তবে সেই পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের ৪ নম্বর কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অভিযুক্ত কর্মকর্তা রবিন তদন্ত কমিটির কাছে সদুত্তর ও বাস্তবসম্মত ব্যাখ্যা দিতে পারেনি এবং সত্য প্রকাশ করেননি বা কিছু গোপন করেছেন।’
এদিকে তদন্ত কমিটির সেই প্রতিবেদন নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এই ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ভিসি’র পিএস পদসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া রবিন। পরে গত ১লা সেপ্টেম্বর সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর দ্বৈত বেঞ্চ রবিনের বহিষ্কারাদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে তাকে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের অনুমতিও দেন। এরপর তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন। এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে জানতে কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মঈনুল হক মিয়াজীকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত খালেদ মোকার রবিন বলেন, ‘আমি মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার। মোট ১১১ দিন তদন্ত করে এই কমিটি ৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গত ৬ই জুলাই এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে পরদিন ৭ই জুলাই তা সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হয়। সেদিনই তা গ্রহণ করা হয় তড়িঘড়ি করে। প্রতিবেদনের কোথাও তারা আমার বিরুদ্ধে অনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের প্রমাণ সম্বলিত কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি। তারপরও কোনো অজানা কারণে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে শাস্তির সুপারিশ করেছে। অবাক হওয়ার বিষয়, যারাই আমার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে, তারাই এই রিপোর্টের বৈধতা দিয়ে আমাকে শাস্তির সুপারিশ করেছে। যা ন্যায়বিচার পরিপন্থি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪তম সিনেট সভায় একজন সদস্য প্রশ্ন উত্থাপন করলে সিনেট সভাপতি ও সচিব কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এসব বিষয় উল্লেখ করে আমি উচ্চ আদালতে শরণাপন্ন হওয়ার পর আদালত আমাকে চাকরিতে যোগদানের অনুমতি দিয়েছেন।’

 

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status