ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

মত-মতান্তর

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম 'এশিয়ান ফ্রেন্ড' কে?

ড. মাহফুজ পারভেজ

(১ বছর আগে) ৫ অক্টোবর ২০২২, বুধবার, ৪:২৬ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৮ পূর্বাহ্ন

mzamin

কয়েক বছর ধরে ইসরায়েল এশিয়া মহাদেশ তথা এশিয়া-প্যাসিফিক জুড়ে অনেক দেশের সাথে গভীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রযুক্তি বিনিময়ের সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে একটি অশান্ত ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও, পশ্চিম এশিয়ার ইহুদি দেশটির উপর এশিয়া অঞ্চলের গুরুত্ব হারিয়ে যায়নি এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের সাথে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যোগ্যতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। পশ্চিমে তার মিত্রের পাশাপাশি ইসরাইল স্পষ্টতই পূর্বের দিকেও আগের চেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম 'এশিয়ান ফ্রেন্ড' কে? যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দুরূহ। কারণ, এশিয়ার নেতৃস্থানীয় প্রায়-সকল দেশের সঙ্গেই ইসরায়েলের সম্পর্ক সমান্তরালে অগ্রসর হচ্ছে।

এশিয়া বা এশিয়া-প্যাসিফিক বিশ্ব রাজনীতিতে এখন অবস্থান করছে গুরুত্বের সঙ্গে, এ কথা সবার মতো ইসরায়েলও অনুভব করছে। রাজনৈতিক বা ভূ-কৌশলগত গুরুত্বে চেয়ে অর্থনৈতিক তাৎপর্যে এশিয়া সবার চোখেই একটি আকর্ষণীয় অঞ্চল। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে এশিয়া তথা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শীর্ষস্থান রয়েছে। এ অঞ্চল সম্পর্কে  আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর তথ্য অনুসারে, চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, জাপান ৩ নম্বরে, ভারত ১০ নম্বরে এবং অস্ট্রেলিয়া ১২ তম স্থানে রয়েছে। ফলে আঞ্চলিকভাবে চীন ও ভারত ছাড়াও পশ্চিমা শক্তিগুলো এ অঞ্চলে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে সক্রিয়। ইসরায়েলও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। এশিয়ার প্রধান দেশগুলো, বিশেষত ভারত ও চীনের পাশাপাশি এ অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াকে কাছে টেনে নিয়েছে ইসরায়েল।

বিজ্ঞাপন
একদা চিরশত্রু অনেক আরব দেশও একইভাবে এখন ইসরায়েলের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে এসব অগ্রগতিকে অভাবনীয় বলা চলে।  

ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক

ভারত ইসরায়েলের একটি আশ্চর্যজনক বন্ধু এবং কৌশলগত অংশীদার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এশিয়ান জায়ান্ট পূর্বের সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়া এবং আরব বিশ্বের সাথেও ঘনিষ্ঠভাব রক্ষা করে। একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের অন্যতম মিত্র। 

ভারতীয় জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী একটি ইহুদি রাষ্ট্রের নিন্দা করায় দেশটির প্রকাশ্য ইসরায়েল-বিরোধী মনোভাব ঠান্ডা যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত বহাল ছিল। পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে মুম্বাইতে একটি ইসরায়েলি কনস্যুলেট প্রতিষ্ঠায় সীমিত স্বীকৃতি দেয় ভারত। তারপর ১৯৯২ সালে ভারত-ইসরায়েল স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হলে তখন থেকেই দেশ দুইটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি  করেছে, যা ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

প্রথম দিকে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কগুলোর বেশিরভাগই আরব বিশ্ব এবং ভারতের বিপুল সংখ্যক মুসলিম ভোটারদের বিরোধিতার ভয়ে শান্ত ও নিভৃতে রাখা হয়েছিল। পূর্ববর্তী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের পর ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। এখন ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারত ইসরায়েলকে একটি মিত্র হিসাবে দেখে, যা একই শত্রুর সাথে লড়াই করছে আর তা হলো ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্তির পর থেকে পাকিস্তানের সাথে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংঘাত সংঘটিত হয়েছে ভারতের, এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ছিল ভারতের পাশে।  প্রকৃতপক্ষে, ইসরায়েলের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির বিরাট পরিবর্তন হয় ১৯৯৯ সালের দিকে। ভারত তখন ইসরায়েলি অস্ত্রের অন্যতম প্রধান ক্রেতায় পরিণত হয়। ভারত অস্ত্র ক্রয় বাবদ ইসরায়েলের সঙ্গে ৬৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করে। তাছাড়া সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণে আরও ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারও ব্যয় করে।  

ভারতের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বৃহত্তম সরবরাহকারী ইসরায়েল। ভারত ও ইসরায়েল কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা দক্ষতাকে কাজে লাগাতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০০৬ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কৃষি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইসরায়েল সফর করেছিলেন এবং এখন প্রায় ২০০০ গুজরাটের কৃষক উন্নত চাষের কৌশলগুলোতে প্রশিক্ষণের জন্য প্রতি বছর ইসরায়েল যান।  

এছাড়াও ভারত জুড়ে ১০টি "উৎকর্ষ কেন্দ্র" নিয়ে কাজ করছে ইসরায়েল, যা চাষ, গভীর সেচ এবং মাটি সৌরকরণের মতো কৌশলগুলোর প্রশিক্ষণ দেয় ও জ্ঞান প্রদান করে। ভারত ও ইসরায়েলের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যের আবহ উভয়ের মধ্যে তিনগুণ বাণিজ্য বৃদ্ধি করার করার পাশাপাশি ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী করবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

চীন-ইসরায়েল সম্পর্ক

সমাজতান্ত্রিক চীন প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীল। তবে ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর চীন-ইসরায়েল সম্পর্ক আরও গভীর হয়। চীন ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের সাথে গোপন, অ-অফিসিয়াল সম্পর্কগুলো বজায় রাখে। সামগ্রিকভাবে  চীনা ট্যাঙ্কের আধুনিকীকরণে ইসরায়েলি দক্ষতা ব্যবহার ছাড়াও কৃষি এবং উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দুইদেশের মধ্যকার সম্পর্কের গতি অনেক বৃদ্ধি পায় ১৯৯২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর থেকে।

চীন-ইসরায়েল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উপনীত হয়েছে, যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২০০ গুণ। প্রকৃতপক্ষে, চীন এখন এশিয়ায় ইসরায়েলের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।  এই অঞ্চলে চীনের দ্রুত ক্রমবর্ধমান এবং মাঝে মাঝে আক্রমনাত্মক উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক প্রযুক্তি বিক্রির ক্ষেত্রে অনেক সময় বাধা দিয়েছে। তথাপি চীন-ইসরায়েল সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে বিকশিত হয়েছে। শুধু গত নয় বছরেই চীনের পক্ষে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে ইসরায়েলে।

উল্লেখযোগ্যভাবে ইসরায়েলের প্রযুক্তি স্টার্টআপগুলো এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের নজর কেড়েছে।  ইহুদি রাষ্ট্রের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক বিশ্বসেরা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে চীন বিশ্বব্যাপী প্রধান উৎপাদন ও রপ্তানি চেইন হওয়ার পথে নিজেকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছে।  চীনা বিনিয়োগের পরিমাণ এমন যে, বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, চীন শীঘ্রই ইসরায়েলের প্রযুক্তির মূলধনের শীর্ষ উৎস হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিস্থাপন করতে পারে।

গত কয়েক বছর ধরে চীনা কারিগরি জায়ান্টরা দলে দলে ভিজিট করছে ইসরায়েলি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মগুলোতে। আগ্রহী চীনা কোম্পানিগুলো ইসরায়েলের একাধিক স্টার্টআপ কোম্পানিতে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগও করছে। হংকং রিয়েল-এস্টেট জায়ান্ট এবং চীনা ব্যবসার ডি ফ্যাক্টো অ্যাম্বাসেডর রনি চ্যান চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির শেয়ারের মালিক এবং নিয়মিতভাবে ইসরায়েলে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন। লেনোভো গ্রুপ লিমিটেড, চীনের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার নির্মাতাদের মধ্যে একটি, যারা ইসরায়েলে প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ইয়ংজিন গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড, একটি চীনা ইকুইটি-বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক পরিষেবা সংস্থা, যারা ইসরায়েলে প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ভেঞ্চার ফান্ড পিটাঙ্গো ভেঞ্চার ক্যাপিটালও ইসরায়েলে অনেক বিনিয়োগ করেছে।

ইসরায়েল কৃষি ও পানি খাত সহযোগিতার ক্ষেত্রে চীনকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করছে। এসব সহযোগিতা চীনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কারণ  দ্রুত বৃদ্ধি এবং নগরায়নের মুখে চীনের মধ্যাঞ্চলের কৃষি খাত ক্রমশ অদক্ষ হয়ে উঠেছে।  এটি সেচ, চাষাবাদ, জল বিশুদ্ধকরণ ও পুনরুদ্ধারের সমস্যাগুলোর সাথে মিলিত হওয়ার ফলে ইসরায়েলি প্রযুক্তি কৌশলগুলো চীনে একটি বড় অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে দুই দেশ প্রযুক্তির জন্য ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছে। তদুপরি, বৈজ্ঞানিক বিনিময় ও সহযোগিতার জন্য XIN কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথভাবে আরও  ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইজিংয়ের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে 'গবেষণা ও শিক্ষাদানে কৌশলগত' সহযোগিতা চালিয়ে যাওয়ার এবং 'টেকসই কৃষি এবং জল পুনরুদ্ধার' ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র কাজ করছে। 

জৈবপ্রযুক্তি এবং সৌর শক্তির ক্ষেত্রে উভয় দেশ নিজেদের পারস্পরিক সহযোগিতাকে অনস্বীকার্য বলেও মনে করে। চীনারা তাদের প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী এবং ইসরায়েল তার প্রাকৃতিক সম্পদ, স্টার্টআপ ও পরিষেবা রপ্তানি করতে আগ্রহী। মুক্ত বাণিজ্যের আওতায় চীন-ইসরায়েলের এই ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও ফুলে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, উভয়ের মধ্যে কিছু সন্দেহ ও সতর্কতার বিষয় রয়েছে। বাণিজ্য শক্তিশালী হলেও চীনের পক্ষে একটি বিশাল ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া ইসরায়েলের আমদানির প্রায় এক তৃতীয়াংশ মাত্র দুটি কোম্পানি থেকে আসে। প্রথমটি হলো ইন্টেল কর্পোরেশন, যেটি ইসরায়েলে ডিজাইন করা এবং তৈরি করা চিপ রপ্তানি করে এবং দ্বিতীয়টি ইসরায়েল কেমিক্যালস লিমিটেড, যা রাসায়নিক সরবরাহ করে।  তাছাড়া চীন ও ইসরায়েল উভয়েই উচ্চ প্রযুক্তির প্রতি আকস্মিকভাবে আগ্রহ বৃদ্ধির বিষয়ে এবং মেধা সম্পত্তি চুরির বোধের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক। 

উল্লেখ্য, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্রাইট ফুড গ্রুপ লিমিটেড যখন ইসরায়েলি দুধ ও দুগ্ধজাত প্রতিষ্ঠান তনুয়া ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫৬ শতাংশ কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করে, তখন একজন প্রাক্তন মোসাদ প্রধান সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, এটি চুরির দিকে নিয়ে যাবে। কুটির পনির তৈরির প্রযুক্তি শিল্প, রিভার্স-ইঞ্জিনিয়ারিং, সেচ পণ্যের ক্ষেত্রেও এমন আশঙ্কা করা হয়।

ইরানের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা ইসরায়েল-চীন সম্পর্ককে কিছুটা জটিল করে তুলছে। আবার ভারত-চীন এবং মার্কিন-চীন বৈরিতার মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলোও চীন-ইসরায়েল সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, এক্ষেত্রে ইসরায়েলি কূটনীতির সাফল্য এই যে, শত্রুভাবাপন্ন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সমান্তরালে সম্পর্ক বজায় রাখছে তারা। দ্বিপক্ষীয় বিষয়কে মোটেও বহুপাক্ষিক হতে দিচ্ছে না। এশিয়ার দেশগুলোও জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে। আর ইসরাইল পুরো এশিয়া মহাদেশ জুড়ে একটি নয়, একাধিক বন্ধু খুঁজে পেয়েছে।

ড. মাহফুজ পারভেজ, অধ্যাপক ও বিশ্লেষক 

মত-মতান্তর থেকে আরও পড়ুন

   

মত-মতান্তর সর্বাধিক পঠিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবদলই সরকার সমর্থিত / ভোটের মাঠে নেই সরকারি দলের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো বিরোধীদল

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status