ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

চিনির দাম উল্টো বাড়ানোর প্রস্তাব

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমলো ১৪ টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৪ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার

দেশের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় সংগঠনটি। অন্যদিকে বাজার বিশ্লেষণ করে চিনির দাম কমানোর প্রস্তাব করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। কিন্তু ওই কমানো দর কার্যকর হয়নি। এর মধ্যেই পণ্যটির দাম কমানোর আবেদন করেছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোতলজাত এক লিটার তেল বিক্রি হবে ১৭৮ টাকায়, যা এতদিন ছিল ১৯২ টাকা। আর পাঁচ লিটারের বোতলের দাম হবে ৮৮০ টাকা, যা এতদিন ছিল ৯৪৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম হবে ১৫৮ টাকা, যা এতদিন ছিল ১৭৫ টাকা।
গত ২২শে সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পাম তেলের দর লিটারে ১৩ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা ঠিক করে দেয়। তবে সয়াবিন তেল নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত সেদিন হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ভোজ্য তেল মালিক সমিতির সদস্যরা বর্তমানে ডলারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এবং টি কে গ্রুপের এমডি মোস্তফা হায়দার।

বিজ্ঞাপন
সভায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে আলোচনা শেষে এবং ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভোজ্য তেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে পুনঃনির্ধারণ করা হয়, যা ৪ঠা অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে ট্যারিফ কমিশনের পক্ষ থেকে চিনির দামে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাজারে বিক্রি হয়েছে তার চেয়েও অন্তত ৬ টাকা বেশি দরে। এর মধ্যেই সম্প্রতি চিনির দাম আরও বাড়াতে ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স এসোসিয়েশন। 
ট্যারিফ কমিশনের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতি মাসে একবার মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব চিনি পরিশোধনকারীরা দিয়েই থাকে। সেই হিসাবে অক্টোবর মাসেও এমন একটি প্রস্তাব এসেছে। তবে এখনো এনিয়ে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ হয়নি।
এর আগে গত ২২শে সেপ্টেম্বর প্রতি কেজি খোলা চিনি সর্বোচ্চ ৮৪ টাকায় এবং প্যাকেটজাত চিনি ৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যদিও বাজারে দাম এর চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশে চিনির মোট চাহিদার অধিকাংশই আমদানি করে মেটাতে হয়। দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় চিনিকলগুলো থেকে আসে সর্বোচ্চ এক লাখ টনের মতো চিনি। বাকিটা পূরণ হয় আমদানি থেকে। মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের বিষয়ে রিফাইনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম রহমানকে কল করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

 

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

   

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status