দেশ বিদেশ
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ
স্টাফ রিপোর্টার
৪ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবারদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯টি দুর্বল ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি দুর্বল চিহ্নিত ব্যাংকগুলোকে নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর। তাতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে ব্যাংকগুলোর পর্ষদ আর নির্বাহীকে আইন অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, নিয়োগপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকরা আগের পর্যবেক্ষকদের থেকেও বেশি ক্ষমতাবান হবেন। ফলে বোর্ডের সিদ্ধান্তে মতামত দিতে পারবেন।
জানা গেছে, ব্যাংক খাতের সুরক্ষায় যে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক তার মধ্যে ৬টি ব্যাংকই সরকারি। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা, সোনালী, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকের পাশাপাশি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত দুই ব্যাংক রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত। অন্য চারটি দুর্বল ব্যাংকের মধ্যে বিদেশি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং বেসরকারি ৩টি যথাক্রমে ন্যাশনাল, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে এ ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকে অনেক সময় শ্রেণিকৃত ঋণ অনেক বেশি হয়ে যায়। এগুলো ব্যাংক রিকোভারি করতে পারে না। অনেকক্ষেত্রে মামলা হয়ে থাকে। এসব পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো এমইউ অনুযায়ী কাজ করছে কিনা সেসব দেখভাল করতেই পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। ব্যাংকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতি মেনে দেয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় এই ঋণগুলো বিতরণ করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ওভারলোড করে ফেলে। এক্ষেত্রে যারা পর্যবেক্ষক থাকে তারা ব্যাংকের অবস্থা সম্পর্কে জানে। তখন তারা ব্যাংকের ঋণ দেয়ার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষকরা বিভিন্নভাবে চিন্তাভাবনা করে বোর্ডের কাছে ঋণ না দেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করে। জানা গেছে, বড় ধরনের অনিয়মের আশঙ্কায় ১৯৯৪ সালে প্রথম ওরিয়েন্টাল ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও অনিয়ম ঘটায় ২০০৬ সালে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে এবং প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ২০০৮ সালে ব্যাংকটির নাম পরিবর্তন করে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক করা হয়। তবে ব্যাংকটি এখনো আগের মতোই ধুঁকছে। এরপর আরও কয়েকটি ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়।