দেশ বিদেশ
সমকামিতা
বৃষ্টির সঙ্গে উধাও আঁখি
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবারময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আঁখি আকতার সমকামী বৃষ্টির সঙ্গে পরীক্ষার হল থেকে উধাও হয়ে গেছে। শনিবার পলাশীহাটা স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে উধাও হয়ে যায় তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুুল কুদ্দুছ। ৪ দিন আগে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দুয়ারী ইউনিয়নে বৃষ্টিসহ ৪ সমকামীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক স্বপন।
পুলিশ জানায়, সন্তোষপুর গ্রামের বৃষ্টির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মুক্তাগাছা উপজেলার মহেশপুর গ্রামের আমিনুল হকের মেয়ে আঁখির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু’জনেই সন্তোষপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। আঁখি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও বৃষ্টি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। শনিবার আঁখির পিতা আমিনুল হক পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়ে বাইরে মেয়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। আঁখি সেদিন ইসলামের ইতিহাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে বৃষ্টির সঙ্গে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে থানায় জিডি হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রোববার বিকালে আঁখি তার পিতার ফোনে জানায়, সে বৃষ্টির সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছে।
আঁখির পিতা আমিনুল হক জানান, ৩ মাস আগে আমার মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছি। বৃষ্টি আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম তোমরা দু’জনে মেয়ে বিয়ে করবে কি করে? তখন বৃষ্টি বলেছিল সমস্যা হবে না। আপনার মেয়ে আমার কাছে সুখেই থাকবে। সে সময় থেকে মেয়েকে আমি শাসনে রেখেছিলাম। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য থানায় জিডি করেছি। প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুুদ্দুছ জানান, বৃষ্টিও ফরম ফিলাপ করেছিল, কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। তবে মেয়েটি অন্য মেয়ের চেয়ে ভিন্ন আচরণ করতো। ভিন্ন পোশাক পরিধান করতো। পরীক্ষার হল থেকে আঁখি বৃষ্টির সঙ্গে পালিয়ে গেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাসুদ আহমেদ জানান, আঁখির বাবা আমাদেরকে আগে জানাননি। আগে জানালে ব্যবস্থা নিতে পারতাম। মেয়ে উদ্ধার হওয়া দরকার। মেয়েটি সমকামীদের খপ্পরে পড়েছে। ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, আঁখির বাবা থানায় একটি জিডি করেছেন। উল্লেখ্য, চার দিন আগে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বৃষ্টিসহ চার সমকামী আটক হয়। দুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক স্বপন চার সমকামীকে পুলিশে দিয়েছিলেন বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন। সে সময় এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে পুলিশ তাদেরকে অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।