শেষের পাতা
২০ লাখ টাকা লুট
সাবেক পুলিশ কনস্টেবল শাহীনসহ গ্রেপ্তার ৫
স্টাফ রিপোর্টার
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবারঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সোনা ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল হোতা সাবেক পুলিশ কনস্টেবল গোলাম মোস্তফা শাহীন ওরফে পুলিশ শাহীন সহ ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগ। শাহীন ছাড়াও গ্রেপ্তার অন্যরা হলো- মো. শাহাদৎ হোসেন, সাইদ মনির আল মাহমুদ, মো. রুবেল ইসলাম ও মো. জাকির হোসেন। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাডো গাড়ি, লুটকৃত ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, একটি ওয়াকিটকি, এক জোড়া হ্যান্ডকাফ, ২টি কালো ক’টি, একটি স্টিলের লাঠি, একটি হাতুড়ি, একটি প্লাস, একটি স্পার্কার (যা পিস্তল সাদৃশ্য) জব্দ করা হয়। বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরা ও কলাবাগান এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি বলছে, গ্রেপ্তারকৃত এই চক্রের মূল হোতা শাহীন। তিনি পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০০৮ সালে অনৈতিক কাজে তিনি চাকরি হারিয়ে ছিনতাই-ডাকাতি পেশায় লিপ্ত হন।
তিনি এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। জেল থেকে বেরিয়ে ফের ছিনতাই-ডাকাতিতে লিপ্ত হতো। শাহীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২০টি মামলা রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। গ্রেপ্তার অন্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
পথে দু’জন ডাকাত মোটরসাইকেলে ব্যবসায়ীকে অনুসরণ করে। মহিউদ্দিন বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের মূল প্রবেশ গেটের সামনে আসামাত্র ডাকাতরা জিপগাড়ি দিয়ে তার মোটরসাইকেল ব্যারিকেড দেয়। গাড়ির ভেতর থেকে ৩ জন ডাকাত নেমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দেয়। মোটরসাইকেল থেকে মহিউদ্দিনকে জাপটে ধরে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়ির ভেতরে নিয়ে মহিউদ্দিনকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে চোখে-মুখে আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা ২০ লাখ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাহপুরে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মহিউদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এরপর ডিবি রমনা বিভাগ এই মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে। তারা তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে ডাকাত চক্রটি শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন আরও বলেন, এই ২০ লাখ টাকার তদন্ত করতে গিয়ে অন্য একটি ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি’র রমনা বিভাগ।
তারা হলেন- ইমরান হোসেন শাহীদ, হীরা ব্যাপারী, জাবেদ আহমেদ বাবু, আরিফ ইকবাল ও আবুল খায়ের রানা। তাদর কাছ থেকে ৪টি চাপাতি, একটি ছুরি, একটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়। বুধবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানার জোনাকি সুপার মার্কেট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ওই এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সবাই সাবেক কনস্টেবল শাহীনের গ্রুপের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। এই ডাকাত চক্রের সঙ্গে আরও ৬/৭ জন রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।