প্রবাস
ভিয়েনার অনুষ্ঠানে উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় স্বাধীনতার বিশ্ব স্বীকৃতি এসেছিল
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২০ আগস্ট ২০২২, শনিবার, ৬:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৫৩ অপরাহ্ন
অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেছেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানই নয়, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব স্বীকৃতি আদায়ে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বৈশ্বিক স্বীকৃতি এসেছিল। ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ। অনুষ্ঠানে সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তিনি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ দূতাবাস জানায় ভিয়েনায় যথাযোগ্য মর্যাদা ভাবগাম্ভীর্য ও বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
১৫ই আগস্ট প্রত্যুষে দূতালয় এবং বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেলে হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। তার আগে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বক্তারা জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশমাতৃকার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সম্পৃক্ত হতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেত্বত্বের বর্ণনা দিয়ে বলেন বঙ্গবন্ধু আজীবন শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই নিরস্ত্র বাঙালি শক্তিশালী পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিবেদিত উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আশা করেন প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা; এবং দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।