কাবরেরার পদত্যাগ চাওয়া শাহীনকে বাফুফে কমিটি থেকে অভ্যাহতি

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরার পদত্যাগ চেয়েছিলেন বাফুফের (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) নির্বাহী কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন। সেই শাহীনকে বাফুফের জাতীয় দল কমিটির সদস্য থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আজ বাফুফে সভাপতি ও জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়ালের স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়েছেন শাহীন। 
সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ না থাকা চিঠিতে নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে শাহীন ফুটবল উন্নয়নে সম্পৃক্ত থাকবেন এমন কথাই লেখার পাশাপাশি জাতীয় দল কমিটি থেকে অপসারণের বিষয়টি রয়েছে। 
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কমিটির আকার বাড়িয়েছিলেন ১২ জনে। শাহীনকে অব্যাহতি দেয়ার পর এখন কমিটিতে ১১ জন রয়েছেন। জাতীয় দল কমিটি ম্যাচ, টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা, কোচিং স্টাফের মূল্যায়ন ও নিয়োগ নিয়ে কাজ করে। এর আগে বাফুফের নির্বাহী কমিটির কোনো সদস্যকে কোনো স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে এভাবে অপসারণ করা হয়নি। 
গত ১৪ই জুন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন বাফুফের এক সংবাদ সম্মেলনে কোচ কাবরেরার বিদায় চাওয়ায় বাফুফের প্রায় সবাই বিব্রত হয়েছে। একইসঙ্গে কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগও উঠেছে শাহিনের বিরুদ্ধে। সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীনের আগে বাফুফের কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে আরও দুই নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান ও মাহফুজা আক্তার কিরণের বিরুদ্ধে। টিপু সুলতান ফেডারেশন কাপে  রহমতগঞ্জ-বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ রেফারি ছিনতাই করেছে বলে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেছিলেন। নারী উইংয়ের প্রধান কিরণ বাটলার-সাবিনাদের দ্বন্দ্বের সময় বলেছিলেন বাটলারকে না নেয়ার সুপারিশ করেছিলেন তিনি, কিন্তু ফেডারেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জরুরি কমিটির সভায় কোচের চুক্তি নবায়ন করেছে। কিরণের এই মন্তব্য গোপীনয়তা ভঙ্গের শামিল ছিল।  
প্রায় সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবলের দায়িত্বে আছেন কাবরেরা।   ২০২৩ সালে সাফ ফুটবলের সেমিফাইনাল ছাড়া তার উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই। প্রাথমিক দল নির্বাচন, খেলোয়াড় বদল বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। হামজা চৌধুরি, শমিত সোমের মতো ফুটবলার বাংলাদেশ দলে যুক্ত হওয়ার পরও ভারত এবং সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় না পাওয়ায় কাবরেরা বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও জোরালো হয়।