অনলাইন
রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যের কারণে ভারত ও চীনের উপর ৫০০% শুল্ক আরোপ করতে চলেছে আমেরিকা
মানবজমিন ডিজিটাল
(১৮ ঘন্টা আগে) ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৫:৩৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যকারী দেশগুলোর উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক চাপাতে চলেছে হোয়াইট হাউস। সম্প্রতি সংসদে এই সংক্রান্ত বিলে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এর জেরে চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোর উপর ৫০০% শুল্ক আরোপ হতে পারে যারা রাশিয়ার থেকে তেল ও জ্বালানি পণ্য কেনে। এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ট্রাম্প তাকে বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে ভোটাভুটি হওয়া উচিত। গ্রাহাম রাশিয়ার উপর নতুন এই নিষেধাজ্ঞা বিলের প্রশংসা করেছেন। তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে “একটি বড় অগ্রগতি” বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন সিনেটরের মতে, এই পদক্ষেপ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসার সুযোগ করে দেবে। তিনি এবিসি নিউজকে বলেছেন - আপনি যদি রাশিয়া থেকে পণ্য কেনেন এবং ইউক্রেনকে সাহায্য না করেন তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা আপনার পণ্যের উপর ৫০০% শুল্ক আরোপ করা হবে। ভারত এবং চীন পুতিনের থেকে ৭০% তেল কিনে যুদ্ধযন্ত্রকে সচল রেখেছে। তবে বিলটি সংসদে পাস হলেও এটি আইনে পরিণত হবে কিনা তা নির্ভর করছে প্রেসিডেন্টের ওপর।
গ্রাহাম আগের এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন- ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা বিলের জন্য আমার ৮৪ জন সহ-স্পন্সর রয়েছে। আমি মনে করি বিলটি পাস হতে চলেছে। ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার অনুসারে, ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ছিল। তাদের অনুমান অনুসারে, ভারত মে মাসে রাশিয়া থেকে ৪.২ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের জীবাশ্ম জ্বালানি কিনেছে, যার মধ্যে অপরিশোধিত তেলের পরিমাণ মোট আমদানির ৭২%। গ্রাহামের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন যে রাশিয়া মার্কিন সিনেটরের মন্তব্য সম্পর্কে অবগত। পেসকভ বলেন-’সিনেটরের মতামত সম্পর্কে আমরা অবগত। তিনি একদল রুশোফোবিক দলের সদস্য। যদি বিষয়টি তার উপর নির্ভর করত, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো অনেক আগেই আরোপ করা হত।এটা কি ইউক্রেন যুদ্ধের মীমাংসা প্রক্রিয়ার অংশ? এই প্রশ্নটি যারা করছেন তাদের নিজেদেরকে প্রশ্ন করা উচিত।’
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস