বাংলারজমিন
বাণিজ্যিকভাবে কচু চাষে ঝুঁকছে মুরাদনগরের কৃষক
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার
অল্প পুঁজিতে বিনিয়োগে বেশি লাভ করায় বাণিজ্যিকভাবে কচু চাষে ঝুঁকছেন মুরাদনগরের কৃষকরা। উপজেলার নবীপুর গ্রামের মো. মোশাররফ হোসেন সরকার ও বাখলনগর গ্রামের এখলাছুর রহমান, জাহাপুর গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, বাণিজ্যিকভাবে বারি পানি কচু-১ লতিরাজ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। ৩০ শতাংশ জমিতে বারি পানি কচু-১ লতিরাজ চাষ করে সব খরচ বাদ দিয়ে তারা আয় করেছেন প্রায় লাখ টাকা। এতে তাদের সংসারের সচ্ছলতা পাশাপাশি বারি পানি কচু-১ লতিরাজ চাষের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছেন অন্য চাষিদের। সাতমোড়া গ্রামের চাষি আবু খলিল, ধামঘর গ্রামের চাষি নাছির উদ্দিন বলেন, চৈত্র মাসে জমিতে বারি পানি কচু-১ লতিরাজ বীজ রোপণ করা হয়। বারি পানি কচু-১ লতিরাজের পূর্ণতা পেতে ১৫ দিন থেকে ৬ মাসের মতো লাগে। সেই হিসেবে আমরা ভাদ্র মাসে উত্তোলন করে থাকি। একেকটি কচু ৮ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ভুবনঘর গ্রামের লতিরাজ চাষি বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় চাষ করা যায় কচু। আমি আমার জমিতে গত ২ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে কচু চাষ শুরু করি। বর্তমানে ৩০ শতাংশ জমিতে বারি পানি কচু-১ লতিরাজ চাষ করছি। বাখরনগর গ্রামের আলেখা বেগম বলেন, কচু চাষে তেমন খরচ নেই। মুরাদনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অদিপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মঈন উদ্দিন বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে উপজেলা কৃষি অফিসারের নিজ উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা সহযোগিতায় ৫ হাজার লতিরাজ কচুর চারা প্রায় ১০ জন কৃষি উদ্যোক্তা ও ৫০ জন কৃষক কৃষাণীকে দেয়া হয়। ৩০ শতাংশ জমিতে ফলন হয় ২৫ থেকে ৩০ টন। উৎপাদন সময় খরিফ। ৩০ শতাংশ জমি থেকে ১ লাখ টাকার ও বেশি মুনাফা করা যায় বারি পানি কচু-১ লতিরাজ চাষের মাধ্যমে।