অনলাইন
'এক সপ্তাহের মধ্যে শান্তি ফিরবে গাজায়', ট্রাম্পের বার্তার পরই ইসরাইল বাহিনীর হামলায় ৩৪ গাজাবাসী নিহত
মানবজমিন ডিজিটাল
(৯ ঘন্টা আগে) ২৯ জুন ২০২৫, রবিবার, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:০০ অপরাহ্ন

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে শুরু হওয়া এই হামলা শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। শিফা হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, গাজা শহরের প্যালেস্টাইন স্টেডিয়ামে ১২ জন নিহত হয়েছেন। এই স্টেডিয়ামে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। কাছাকাছি অ্যাপার্টমেন্টে আরও আটজন নিহত হয়েছেন।হাসপাতালটি জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় মুওয়াসিতে তাদের তাঁবুতে হামলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যখন বলেছেন যে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে, তার মধ্যেই এই হামলাগুলো ঘটল। হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বড় বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যে গাজা ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। গাজার পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। আশা করছি আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছতে পারব।’
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরাইলের কৌশলগত মন্ত্রী রন ডার্মার আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। মার্চ মাসে ইসরাইল সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার পর থেকে আলোচনা চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ৫৬,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবার আশা করছে যে, ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ভূমিকা গাজাকে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চাপ বৃদ্ধি করতে পারে। ইরানের সাথে সংঘাতের কারণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জনসমর্থন অর্জন করেছেন। হামাস বলেছে, যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে তারা সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে ইচ্ছুক। কিন্তু নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন যে, যুদ্ধ কেবল তখনই শেষ হবে যদি হামাসকে নিরস্ত্র করা হয় এবং তার নেতাদের নির্বাসিত করা হয়। হামাস এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইতিমধ্যে, গাজার ফিলিস্তিনিরা খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে। আড়াই মাস ধরে সমস্ত খাদ্য সরবরাহ বন্ধ রাখার পর, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ইসরাইল কেবলমাত্র সীমিত পরিমাণে খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে। সশস্ত্র দলগুলো ট্রাক লুট করে নিচ্ছে। ফলে জাতিসংঘের খাদ্য বিতরণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া