ঢাকা, ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিঃ

শেষের পাতা

নকল চাবিতে ৫০০ মোটরসাইকেল চুরি, বিক্রি করতো ৪০ হাজার টাকায়

স্টাফ রিপোর্টার
১৮ আগস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

নকল চাবি দিয়ে কমপক্ষে ৫০০টি মোটরসাইকেল চুরি করেছে চক্রটি। আর এসব চুরি করা মোটরসাইকেলগুলো রাজধানীর আশপাশের এলাকায় প্রতিটি ৪০ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রি করা হতো। সম্প্রতি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিনব উপায়ে নকল চাবি দিয়ে মোটরসাইকেল চুরি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজধানীর কেরানীগঞ্জ, দোহার, মুন্সীগঞ্জসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় এসব মোটরসাইকেল অল্প দামে বিক্রি করতো চক্রটি। আড়াই লাখ টাকার মোটরসাইকেল বিক্রি করতো ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। গতকাল দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সমপ্রতি ডিএমপি’র গেণ্ডারিয়া থানার একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে নূর মোহাম্মদ ও রবিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্য তিন সদস্য সজল, মনির ও আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ১৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল একটি চক্র।

বিজ্ঞাপন
গত কয়েক বছরে এই চক্রের সদস্যরা অন্তত ৫০০ মোটরসাইকেল চুরি করেছে। এমন অভিযোগে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় চোর চক্রকে ধরতে অভিযান শুরু করে ডিবি’র ওয়ারী বিভাগ । সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর চক্রের মূলহোতা নূর মোহাম্মদ ও রবিনকে শনাক্ত করে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্য সক্রিয় সদস্য সজল, মনির ও আকাশকে যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের মূলহোতা নূর মোহাম্মদ জানায়, তিনি মূলত জুরাইন এলাকা থেকে চুরি শুরু করলেও পরে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় চোর চক্র গড়ে তোলে। চোর চক্রের অন্যতম সহযোগী রবিনের মাধ্যমে জিক্সার মোটরসাইকেলের চাবি তৈরি করে। চাবি ব্যবহার করে তারা জিক্সার মোটরসাইকেল অনায়াসেই স্ট্যার্ট করতো। মোটরসাইকেল চুরি থেকে বিক্রি পর্যন্ত চক্রের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব পালন করতো। তাদের মধ্যে অন্যতম সজল, মনির ও আকাশ ক্রেতা সংগ্রহ করতো। ঢাকা মহানগর এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা, ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতো চক্রটি। তিনি বলেন, এ সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির সময় ক্রেতাদের বলতো এগুলো ভারতীয় সীমান্ত থেকে আনা গাড়ি। তাই কম দামে বিক্রি হবে। প্রতিটি চোরাই মোটরসাইকেল তারা ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করতো। চক্রটি ২০১৬ সাল থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল। তারা এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছে। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা, তার অন্যতম সহযোগী রবিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা এবং অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময় গাড়ি পার্কিং করার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়ার পাশাপাশি চুরির ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে গোয়েন্দা পুলিশকে অবহিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

 

শেষের পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

শেষের পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status