খেলা
দুই মৌসুম পর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগে সাকিব
স্পোর্টস ডেস্ক
২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার
জ্যামাইকা তালাওয়াসের জায়গায় শেষ আসরেই যাত্রা শুরু করেছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুদা ফ্যালকন্স। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে বুধবার সাকিব আল হাসানকে দলে টেনেছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (সিপিএল) নবীন দলটি। এতে করে দুই মৌসুম পর ফের সিপিএলে খেলার হাতছানি সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের।
সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এখনও অনিশ্চিত। দেশের হয়ে আর খেলতে পারবেন কি না, সেই উত্তরও নেই কারও কাছে। দেশসেরা এই অলরাউন্ডারকে মাঠে দেখা যায় শুধু বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলোতে। পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) পর এ বছরই সিপিএলেও খেলতে যাচ্ছেন তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এক্স হ্যান্ডেল থেকে বুধবার এ ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়। বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে সতীর্থ হিসেবে সাকিব পাচ্ছেন ইমাদ ওয়াসিম, জাস্টিন গ্রেভস, জ্যাডন সিলস, রাকিম কর্নওয়ালদের। সিপিএলে এখন পর্যন্ত পাঁচটি আসরে ভিন্ন তিনটি দলের হয়ে খেলেছেন সাকিব। ২০১৩ ও ২০১৯-এ বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস, ২০১৬ ও ২০১৭তে জ্যামাইকা তালাওয়াস ও সবশেষ ২০২২-এ খেলেছেন গায়ানা আমাজন ওয়ারির্সের হয়ে। সব ঠিকঠাক থাকলে দুই মৌসুম পর ফের এই প্রতিযোগিতায় দেখা যাবে এই ৩৮ বছর বয়সী তারকাকে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে দারুণ একটু সুখস্মৃতিও আছে সাকিবের। প্রথমবার ২০১৩তে বার্বাডোজের হয়ে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো রেড স্টিলের বিপক্ষে স্রেফ ৬ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সাকিবের ক্যারিয়ারের তো বটেই, সিপিএলেও এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং ফিগার এটি। ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে সব মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে দুটি ফিফটিসহ ৪৪৮ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। হাত ঘুরিয়ে ওভারপ্রতি ৬.৮২ রানে উইকেট নিয়েছেন ৩৭টি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড় খেলেছেন বিশ্বের বড় বড় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে। এই সংস্করণে সব মিলিয়ে ৪৪৭ ম্যাচে ৭৪৩৮ রানের সঙ্গে ৪৯৩ উইকেটও রয়েছে অলরাউন্ডার সাকিবের। আগামী ১৪ই আগস্ট মাঠে গড়াবে সিপিলের ত্রয়োদশ আসর, ফাইনাল ২১শে সেপ্টেম্বর। উদ্বোধনী ম্যাচে সাকিবের বারবুডা ফ্যালকনস মুখোমুখি হবে সেন্ট কিটস অ্যান্ড প্যাট্রিয়টসের।
ভারতের বিপক্ষে গত বছরের ১লা অক্টোবর কানপুর টেস্টের শেষ দিনের পর লাল সবুজের জার্সিতে আর দেখা যায়নি সাকিব আল হাসানকে। মিরপুরে বিদায়ী টেস্ট খেলার লক্ষ্যে ওই মাসেই তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পথে দুবাইয়ে থামতে হয় তাকে। নিরাপত্তা শঙ্কায় তার আর দেশে ফেরা হয়নি।