খেলা
লিটনের ভুল দেখছেন সালাউদ্দিন
স্পোর্টস রিপোর্টার, (গল) শ্রীলঙ্কা থেকে
১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
মুশফিকুর রহীম ১৬৩, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৮, লিটন দাস ৯০ রানে আউট হলেন। তখন স্কোর বোর্ডে ৪৭৪ রান। খেই হারানো দলকে আর কোনো ব্যাটার টেনে তুলতে পারলেন না। আরও তিন উইকেটের পতন ১০ রানের মধ্যেই। তাহলে কি গলের উইকেটে শেষ বিকালে বদলে গেছে! না দলের সহকারী কোচ নিজের ব্যাটারদের ওপরই দায় চাপালেন। বিশেষ করে লিটন যেভাবে খেলছিলেন আর যেভাবে আউট হলেন তা দলের পথই বদলে দেয়। কোচ অকপটেই জানিয়ে দিলেন ভুলটা লিটনেরই। তিনি বলেন, ‘লিটন অনেক নিয়ন্ত্রণের সাথে ব্যাট করেছে। সে শান্তভাবে ব্যাট করেছে। আমার মনে হয় খেলায় এটিই তার একমাত্র খারাপ শট ছিল। ক্রিকেটে এটি ঘটতে পারে। সে এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে এবং আরও বড় ইনিংস খেলতে পারে। আমার মনে হয় সে আর ভুল করবে না।’ গল টেস্টের দ্বিতীয় দিন প্রথম দুই সেশন দারুণ ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। গল টেস্টে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ইনিংসটি বলা যায় দলের চালিকা শক্তি। নির্ভার থেকে, ঠাণ্ডা মাথায়, নিয়ন্ত্রিত ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১৫টি দারুণ চারের সঙ্গে ছিল এক ছক্কা। তবে আরও ভালো না হওয়ার আক্ষেপ আছে। দেড়শ’ রানে যেতে পারেননি তিনি। মুশফিক তার কাছে একটা ডাবল সেঞ্চুরি প্রত্যাশা করেছিলেন।
সেসব না হলেও আঙুলের ব্যথা নিয়ে দেড়শ’ ছোঁয়া রান করার জন্য বাহবা পেতে পারেন তিনি। জাতীয় দলের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘শান্ত নানাভাবে সমালোচিত হওয়ার পরও যেভাবে নির্ভার ব্যাটিং করেছে তা অন্যদের জন্য শিক্ষনীয়। তার (শান্ত) আঙুল অনেক ফুঁলে ছিল। ব্যথা নিয়ে খেলেছে। শান্ত ভিন্ন চরিত্রের ক্রিকেটার। টাফ একটা ছেলে। তাকে নিয়ে কম ট্রল হয়নি, এতোকিছুর পরও মাথা ঠিক রেখে খেলেছে সে, সেটা অনেকে পারে না। এটা দলের অন্যদের জন্য শিক্ষনীয়।’ স্কোর বোর্ডে ৫’শর কাছাকাছি রান থাকলেও দিন শেষে কোচের কন্ঠে আক্ষেপ স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘গত সেশনে আমাদের ব্যাটিং একটু ভালো হতে পারত। আমার মনে হয় আমাদের বোর্ডে যথেষ্ট রান আছে। যদি আমরা ভালো বোলিং করি, তাহলে আমার মনে হয় আমরা খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। আমরা কিছু খারাপ শট খেলেছি, যার কারণে আমরা কিছু উইকেট হারিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘এখানে উইকেট পাওয়া সহজ হবে না। আমি শ্রীলঙ্কার বোলিং থেকে ইতিবাচক দিকটি নেব। তারা আগের পাঁচটি সেশনের মতো শেষ সেশনে বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ খুব ভালোভাবে বজায় রেখেছে। যদি তাই হয়, তাহলে আমরা আমাদের বোলিংয়ে এই বিশেষ জিনিসটি ব্যবহার করতে পারি। আমাদের স্পিনারদের এখানে ভালো করা উচিত, আর আমাদের ফাস্ট বোলাররা এই উইকেট থেকে সুবিধা নিতে পারবে। এখানে রিভার্স সুইং খুঁজে বের করলে খেলার গতি বদলে যেতে পারে। আমরা প্রতিটি সেশন জিতে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করব। উইকেট এখনও ব্যাটিং-বান্ধব, উইকেট নেওয়ার জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’