খেলা
বয়সের সঙ্গে ‘ক্ষুধা’ও বাড়ছে রামোসদের
স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
বয়সটা কেবলই সংখ্যা- ফুটবলে সেটি প্রমাণ করে চলেছেন সার্জিও রামোস-থিয়াগো সিলভারা। বুধবার সকালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের রানার্সআপ ইন্টার মিলানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে প্রথমে দলকে এগিয়ে নেন মন্তেরেইয়ের স্প্যানিশ কিংবদন্তি রামোস। ক্লাব বিশ্বকাপের আগের ম্যাচে জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র হওয়া ম্যাচে বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখিয়েছেন ফ্লুমিনেন্সের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার সিলভাও।
মেক্সিকান লীগে মন্তেরেইর অবস্থান সপ্তম। প্রত্যাশিতভাবেই পুরো ম্যাচে দাপট ছিল ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টারের। বল দখলে ৬২ শতাংশ এগিয়ে থাকা ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা গোলের দিকে ১৫টি শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারে স্রেফ ২টি। বিপরীতে মন্তেরেইর ১১টির মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ১টি শটই, তাও আবার হেড থেকে। ক্যালিফোর্নিয়ার রোজ বোল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৫তম মিনিটে রামোসের হেডে এগিয়ে যায় মন্তেরেই। কর্নারের বল জালে জড়িয়ে চিরায়ত উদযাপনে মাতেন এই ৩৯ বছর বয়সী সেন্টার ব্যাক। ক্লাব বিশ্বকাপে এত বয়সে গোল করার কীর্তি নেই আর কারও। ৪২তম মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে সমতায় ফেরে ইন্টার। বিরতির পর ৭৮তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ডি বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেলেও গোলপোস্টের উপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। যোগ করা তৃতীয় মিনিটে মন্তেরেইও একটি দুর্দান্ত সুযোগ সাইডনেটে মেরে নষ্ট করে সমতা দিয়েই শেষ হয় ম্যাচ। শুধু গোল করে নয়, নিজের রক্ষণের দায়িত্বটাও দারুণভাবে সামলেছেন অধিনায়ক রামোস। ১১টি ক্লিয়ারেন্সের সঙ্গে ব্লক করেছেন ২বার, জিতেছেন ৪টি ডুয়েলও। এছাড়া এই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তির ৩৪ পাসের ৩১টিই ছিল পুঙ্খানুপুঙ্খ। ক্রীড়া পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট সোফাস্কোর ম্যাচসেরা রামোসকে রেটিং দিয়েছে ৮, যা তার দলের যে কারও চেয়ে অধিক।
এর আগের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের অন্যতম শক্তিধর ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে নামে ফ্লুমিনেন্স। মন্তেরেইর চেয়ে বেশিই পরিচিতি আছে সেলেওসাও ক্লাবটির। তবে এদিন আক্রমণে দাপট দেখিয়েছে ফ্লুমিনেন্সই। ১৪টি শটের মধ্যে তারা লক্ষ্যে রাখে ৫টি। জার্মান জায়ান্টরা ৭টির মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৩টি, যার কৃতিত্ব অনেকটাই অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার। ৪০ বছর বয়সী এই সেলেসাও সেন্টার ব্যাক ডুয়েল জিতেছেন ৯ বার, বল ক্লিয়ার করেছেন ৭ বার আর এরিয়াল ডুয়েলে জিতেছেন ৮ বার। এটুকু পরিসংখ্যানই যথেষ্ট মাঠে তার কার্যকারিতায় আলোকপাত করতে। ডর্টমুন্ডকে আক্রমণে খেই হারাতে হতোই, কেননা সিলভার পেছন গোলপোস্টের নিচে ছিলেন আরেক বুড়ো সিংহ ফাবিও। ৪৪ বছর বয়সী এই সেলেসাও গোলকিপার সেভ করেছেন ৩টি, যার মধ্যে ২টিই ছিল ডাইভিং সেভ। ৩২ বারের স্পর্শে তিনি বল পুনরুদ্ধার করেছেন ৮ বার।