প্রথম পাতা
ইরান-ইসরাইল সংঘাত
হরমুজ প্রণালির বিকল্প নিয়ে এখনই ভাবতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ জুন ২০২৫, বুধবার
ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশকে তীক্ষ্ণ নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবীর। বলেন, কোনো কারণে যদি হরমুুজ প্রণালি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে জাহাজে পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমরা কী করবো, এয়ারলাইন্সের সাপোর্ট নিতে পারি কিনা; এসব বিষয়ে এখনই ভাবতে হবে। পরিকল্পনা করতে হবে।
মঙ্গলবার মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে এই কূটনীতিক বলেন, আমাদের যুদ্ধাবস্থা পর্যালোচনা করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ইরানে যারা বাংলাদেশি আছেন তাদের জন্য হটলাইন খোলা হয়েছে। ইরান ও আশপাশের বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি আছেন, তাদের সরানো লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা)’র সঙ্গে যোগাযোগ আগে থেকেই করা যেতে পারে। তাদের সাহায্য বাংলাদেশ আগেও নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশের বহুমুখী ক্ষতি হবে। মধ্যপ্রাচ্যে এই ধরনের বড় সংকট হলে তবে ব্যবসা, তেল-গ্যাস আমদানি, রেমিট্যান্স বাধাগ্রস্ত হবে। যুদ্ধাবস্থা দীর্ঘায়িত হলে লোকজনকে নিয়ে আমরা কী করবো সেটা নিয়েও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে।
এম হুমায়ুন কবীর যুদ্ধের বিষয়ে বলেন, পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে না। ইসরাইলের দুটো টার্গেট। এক. ইরানের পারমাণবিক গবেষণা-ব্যবস্থাপনাকে ধ্বংস করা। দ্বিতীয়ত. ইরানের বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করা। ইসরাইল ইরানের ইতিমধ্যে প্রচুর ক্ষতি করেছে। বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, জেনারেলকে মেরে ফেলেছে। পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর উপর আঘাত করেছে। এখন ইরান চেষ্টা করছে প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণ করার। ইরান কতোক্ষণ এটা সামাল দিতে পারবে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ ইরানকে একাই লড়তে হচ্ছে। এখন যদি যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেয় তাহলে পরিস্থিতি আরও সংকটাপূর্ণ হবে।