২২ বছর বয়সেই যেভাবে ৫৪৬ কোটি টাকার মালিক

ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে জয় দিয়ে শিরোপা ধরে রেখেছেন কার্লোস আলকারাজ। প্যারিসের রোলাঁ গারোতে ফাইনালে ইতালির ইয়ানিক সিনারকে ৪-৬, ৬-৭ (৪-৭), ৬-৪, ৭-৬ (৭-৩), ৭-৬ (১০-২) ব্যবধানে হারিয়ে রূপকথা লিখেছেন এই স্প্যানিশ তারকা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৫ ঘণ্টা ২৯ মিনিটে টুর্নামেন্টের দীর্ঘতম ফাইনালে শেষ হাসি হেসেছেন আলকারাজই। লাল দুর্গে নিজের দ্বিতীয় শিরোপা ও পঞ্চম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে তিনি অর্থ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২৯ লাখ ডলার অর্র্থাৎ ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার মতো। আলকারাজ তার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত প্রাইজমানি বা অর্থ পুরস্কার হিসেবে জিতেছেন ৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৪৬ কোটি টাকা। এতে করে অর্থ পুরস্কার থেকে সর্বোচ্চ আয় করা টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে সাতে উঠে এসেছেন তিনি। এ তালিকায় আলকারাজের উপরে আছেন দানিল মেদভেদেভ, আলেক্সান্দার জভরেভ, অ্যান্ডি মারে, রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচ। তবে বর্তমান ছন্দ ধরে রাখতে পারলে সহজেই মেদভেদেভ (৫৬৫), জভরেভ (৬৫২) ও মারেকে (৭৮৯) ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা আলকারাজ। তবে টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ ফেদেরার (১৫৯৮), নাদাল (১৬৪৮) ও জকোভিচকে (২২৯৪) টপকাতে হলে এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে এই স্প্যানিশ তারকাকে। 
ফাইনালে চতুর্থ সেটে তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্টের সামনে ছিলেন সিনার। একটি পয়েন্ট কাজে লাগাতে পারলেই শিরোপা তুলে ধরতেন এই ২৩ বছর বয়সী তারকা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেটটি জিতে নেন আলকারাজ। পরের সেটেও মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেন সিনার, গিয়েছিলেন সুপার টাইব্রেকারেও। সেখানেও ঘুরে দাঁড়ান আলকারাজ। ম্যাচের পর শিরোপা হাতে আলকারাজ বলেন, ‘ম্যাচটি ইতিহাস হয়ে থাকলো কি না জানি না। তবে যদি এটি ইতিহাস গড়ে থাকে তবে আমি খুব খুশি।’