খেলা
ওপেনিংয়ের দায়িত্ব নিজেই নিচ্ছেন অধিনায়ক শান্ত!
স্পোর্টস রিপোর্টার
১২ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে ওপেনিং নিয়ে সমস্যার যেন কোনো সমাধানই নেই! প্রতি সিরিজেই ওপেনারদের বাজে পারফর্মেন্স দলের ওপর প্রভাব ফেলে। সাদমান ইসলাম অনিক, জাকির হাসান বা মাহমুদুল হাসান জয়- সাম্প্রতিক সময়ে ওপেন করা কোনো ব্যাটারই দলের আস্থা হয়ে উঠতে পারছেন না। চলতি মাসেই শ্রীলঙ্কা সফর করবে বাংলাদেশ। এ সফরে ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে চান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের দলে ওপেনার মাত্র দুজন, এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। লঙ্কানদের বিপক্ষে শান্ত নিজে থেকেই ওপেন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর এ কারণেই স্কোয়াডে মাত্র দু’জন ওপেনার রাখা হয়েছে। মিরপুরে গতকাল থেকে নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের খেলায় বিসিবি লাল দল আগে ব্যাটিং করে ২৪৭ রানে অলআউট হয়। জবাবে ১ উইকেট হারিয়ে ৩১ রানে দিন শেষ করে সবুজ দল।
অনুশীলন ম্যাচে ওপেনিংয়েই নামেন শান্ত। তবে সাদমান ইসলামের সঙ্গে তার জুটি খুব বড় হয়নি। দলীয় ২৩ রানেই ফিরে যান সাদমান। তবে শান্ত বেশ সাবলীল ছিলেন। প্রতিপক্ষ দল ব্যবহার করে মাত্র ৩জন বোলার, নাহিদ রানা আর দুই স্পিনার হাসান মুরাদ ও নাঈম হাসান। রানাকে সামলাতে কিছুটা বেগ পেতে হলেও স্পিনারদের স্বচ্ছন্দেই খেলেন শান্ত। তবে ভালো শুরুর সঙ্গে ছন্দে থাকলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি অনুশীলনের শুরু থেকেই সুইপ ও রিভার্স সুইপে মনোযোগী থাকা শান্ত। গতকালও বারবার এই দুই শট খেলার চেষ্টা করেছেন। সুইপ করতে গিয়েই শেষ পর্যন্ত আউট হন তিনি। নাঈম হাসানের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন শান্ত। ৩৯ বলে ৪০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৮৮ মিনিটের ব্যাটিংয়ে ৭টি চার হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার। শান্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময়ই তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন। ৬৬ ইনিংসের মধ্যে ৫১ বার তিনি তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন এবং তার টেস্ট ক্যারিয়ারের পাঁচটি সেঞ্চুরিই এই পজিশন থেকে এসেছে। তিন নম্বরে তার ব্যাটিং গড় ৩১.৫০। তবে সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে শান্ত চার নম্বরে ব্যাট করছেন, যেখানে মুমিনুল হক ওপরে উঠে গেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্ট থেকে শুরু করে, শান্ত মোট ৯ বার চার নম্বর বা তার নিচে ব্যাট করেছেন এবং এই সময়ে তিনি দুটি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। এবার ওপেনিংয়ে ব্যাট করবেন আর সেটা টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হন মমিনুল হক। তখন পর্যন্ত মাত্র দুই বল খেলা মমিনুলকে অবশ্য টিম ম্যানেজমেন্ট আবারও ব্যাট করার সুযোগ দেয়। দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে মমিনুল ১৩১ বলে করেন ৭৮ রান। পেসার ইবাদত হোসেনের একটি বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে আউট হন তিনি। চারে ব্যাট করা মুশফিকুর রহীম অপর পেসার নাহিদ রানার বলে বোল্ড হন। মাত্র দুই বল খেলে ভেতরে ঢোকা বলে আউট হন মুশফিক। লিটন উইকেটে থিতু হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৯৭ বলে তিনি ৪৩ রান করা লিটন স্টেপ আউট করে এগিয়ে এসে বড় শট খেলার চেষ্টায় স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। এর আগে চোয়ালের ব্যথা নিয়েই লিটন লম্বা সময় উইকেটে ছিলেন।