৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

কয়েকদিন আগে জর্ডানে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করার পর জর্ডানের সঙ্গেও ২-২ গোলে ড্র করে পিটার বাটলারের দল। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে র‌্যাঙ্কিংয়ে। ফিফার সর্বশেষ হালনাগাদ করা র‌্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।  ১০৯৯.৩৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ উঠেছে ১২৮ নম্বরে। বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ৭.৫৫। গত ছয় বছরে এটা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং। র‌্যাঙ্কিংয়ে এক থেকে তিন নম্বর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এক থেকে তিনে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও জার্মানি। চার ধাপ এগিয়ে চারে উঠে এসেছে ব্রাজিল। র‌্যাঙ্কিংয়ে আর্জেন্টিনার অবস্থান ৩২ নম্বরে। চলতি বছরের ২৬শে মে জর্ডান সফরে যাওয়ার সময় ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৩৩ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। ৩১শে মে প্রথম ম্যাচে ৩৯ ধাপ এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করে বাংলাদেশ। এরপর ৩রা জুন পরের ম্যাচে ৫৯ ধাপ এগিয়ে থাকা জর্ডানের সঙ্গেও পয়েন্ট ভাগাভাগি করে পিটার বাটলারের দল। র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা দুই দলের বিপক্ষে ভালো করাতেই বলার মতো এগিয়েছে বাংলাদেশ।
ছয় বছরের মধ্যে নারী ফুটবলে বাংলাদেশের এটাই সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে ২০১৯ সালের মার্চে ১২৭ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ ২০২২ সালে নেমে গিয়েছিল সর্বনিম্ন ১৪৭ নম্বরে।  দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং ১০০।  ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুবার ঠিক ১০০ নম্বরে উঠেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করা ইন্দোনেশিয়ার মেয়েরা এক ধাপ পিছিয়ে নেমেছে ৯৫ নম্বরে। জর্ডানও পিছিয়েছে এক ধাপ, নেমেছে ৭৫-এ।
নারী ফুটবলের পরবর্তী র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ হবে আগামী ৭ই আগস্ট। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এশিয়ান নারী বাছাই টুর্নামেন্ট খেলবে মিয়ানমারে। স্বাগতিক মিয়ানমার, বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তানের গ্রুপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলতে পারবে। এশিয়ান নারী বাছাইয়ে বাংলাদেশ ভালো ফলাফল করলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে র‌্যাঙ্কিংয়েও। প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলে বাংলাদেশের সামনে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১১০০ পয়েন্ট স্পর্শ করার হাতছানি ।