লর্ডসে ফাইনালের মঞ্চ পেসারদের!

লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এখন চলে শেষ ইনিংস। অথচ কেবল ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে। প্রথম দুই দিনেই পড়েছে ২৮ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলের পেসাররাই যেন পাল্লা দিয়ে উইকেট নেয়ার জন্য ফাইনালটাকেই বেছে নিয়েছেন।
টস হেরে ফিল্ডিং নিয়ে প্রথম দিনেই অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২১২ রানে অস্ট্রেলিয়াকে থামানোর পথে কাগিসো রাবাদা ৫টি আর মার্কো ইয়ানসেন নেন ৩ উইকেট। এরপর অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা সেটার জবাব দেন আরও ভয়ঙ্করভাবে।  ৩২ বছর বয়সী অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নেন ২৮ রানে ৬ উইকেট, যা লর্ডসে ১৪১ বছরের টেস্ট ইতিহাসে কোনো অধিনায়কের সেরা বোলিং। সেটাও কিনা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে! কামিন্সের তোপেই দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া নিয়েছে ৭৪ রানের লিড। তবে প্রোটিয়া পেসাররাও তো ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন! প্রথম ইনিংসের চেয়েও ভয়ঙ্কর রুপে আবির্ভুত হন তারা। ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এবারও রাবাদাই ধ্বসিয়ে দেন অজি ব্যাটিং লাইনআপ। এবার তার শিকার ৪ উইকেট, আর লুঙ্গি এনগিডি নেন ৩ উইকেট। শেষদিকে মিচেল স্টার্কের ৫৮ আর অ্যালেক্স ক্যারির ৪৩ রানে আফ্রিকাকে ২৮২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একবারই টেস্ট জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেই ১৯৯৮ সালে। ওই বছরই ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (তখনকার নাম আইসিসি নকআউট ট্রফি) জিতেছিল প্রোটিয়ারা, যা এখন পর্যন্ত তাদের একমাত্র বৈশ্বিক শিরোপা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই ম্যাচে উইকেট পড়েছে ৩১টি। যার মধ্যে ২৮টি উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। সেটাও ম্যাচের প্রথম ইনিংসে। পরের দুই ইনিংসে আর স্পিনাররা উইকেটই পাননি। এমনকি আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে স্পিনারদের দিয়ে মাত্র ৮ ওভার বোলিং করিয়েছে। আর অজিরা ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে করিয়েছে ১১ ওভার! সবমিলিয়ে এসব স্ট্যাটই বলে দিচ্ছে ফাইনালের মঞ্চে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন দুই দলের পেসাররা।