‘হোক না! হলে তো ভালোই’

গেল কয়েক বছরে ক্রিকেট মাঠে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়া মানেই বাড়তি উত্তেজনার পারদ। ২০১৮ সালে সেই নিদাহাস ট্রফি থেকে ২০২৩ বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের টাইমড আউট বা গত বছর সিরিজ জিতে দুই দলের পাল্টাপাল্টি উদযাপন! দুই দলের মধ্যে মাঠের ভেতরের উত্তেজনা সময়ের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে। আগামী ১৭ই জুন শ্রীলঙ্কায় দু’দলের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে। এরপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও আছে। এবারও কি উত্তেজনা থাকবে! বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর এমন কিছুতে আপত্তি নেই।  গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমন এক প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘হোক না, হলে তো ভালোই, খারাপ কী, হোক।’
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্টে ২৬ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় মাত্র ১টি। ওই জয়টা যদিও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কিছু। নিজেদের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার মাটিতেই এসেছিল জয়টি। গত বছর ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের সিরিজে তো ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ। এবার শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে লম্বা সময় ধরে অনুশীলন করেছেন লাল বলের ক্রিকেটাররা। ঈদের পর দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছেন তারা।
শ্রীলঙ্কায় খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের একটি অস্বস্তি থাকে সব সময়ই, খেলতে হয় আনঅর্থডক্স অ্যাকশনের বোলারদের বিপক্ষে। এ জন্য প্রস্তুতি কেমন? নাজমুল বলেন, ‘এ ধরনের বোলার তো আমাদের দেশে নেই। প্রস্তুতি যদি ওভাবে নিতে চাই, সম্ভব না। কারণ, আমাদের দেশে নেই। আমাদের যে রিসোর্সগুলো আছে, প্রস্তুতিতে যে বোলাররা আছে, ওদেরকে ফেস করেই আসলে প্রস্তুতি নিতে হয়। আমি বলবো যে অনেক দিন ধরে অনেক খেলোয়াড় খেলছে, অভিজ্ঞ দল, তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে (এই প্রস্তুতি) মানসিকভাবে নেওয়া যায়, ভিডিও দেখে হতে পারে।’
এবার বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে মাত্র দুই বিশেষজ্ঞ ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলামকে নিয়ে। খবর আছে, লঙ্কায় ওপেন করবেন শান্ত। তবে গতকাল এ প্রশ্নে ধোঁয়াশা রেখেছেন তিনি। শান্ত বলেন,  ‘এটা আসলে এখানে বলতে চাই না। প্রতিপক্ষ যদি দেখে অনেক আগেই ফাঁস হয়ে যাবে। যখন খেলা শুরু হবে, তখনই বুঝতে পারবেন আমরা কী চিন্তা করে দলটা বানিয়েছি। ওই বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন কেন দলে একটা ওপেনার কম।’