কোথায় খেলবেন শেফিল্ডে সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া হামজা

বাংলাদেশের ফুটবলে চলছে নতুন জোয়ার। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের একজন খেলোয়াড় কীভাবে একটি দেশের ফুটবলীয় উন্মাদনার পারদ চূড়ায় পৌঁছে দিতে পারে, তার অসাধারণ এক উদাহরণ হামজা চৌধুরী। তার হাত ধরেই লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন শমিত সোম আর ফাহামিদুল ইসলামের মতো প্রবাসী ফুটবলাররা। বুধবার ইংল্যান্ডের বিমান ধরলেও ঠিকানা বদলে গেছে হামজার, ফিরেছেন লেস্টার সিটিতে। যদিও গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের নাম লেখানোর গুঞ্জন চলছে । চলতি বছরের শুরুর দিকে লেস্টার সিটি থেকে ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে লোনে খেলতে যান হামজা। প্লে অফ রাউন্ডের ফাইনালে সান্ডারল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লীগে ফেরার স্বপ্ন ভাঙে শেফিল্ডের। অন্যদিকে শেষ মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের প্রথম স্তর থেকে অবনমিত হয়ে গেছে লেস্টারও। চুক্তি অনুযায়ী আরও দুই বছর হামজা খেলবেন লেস্টারেই। তবে শেষ পর্যন্ত গুঞ্জন সত্যি হলে সামনের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে দেখা যাবে এই ২৭ বছর বয়সী ফুটবলারকে। আসন্ন ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় খেলবে অলিম্পিয়াকোস। এদিকে ফুটবল অর্থনীতি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ক্যাপোলজির তথ্যানুযায়ী, শেফিল্ড ইউনাইটেডে সপ্তাহে ৪১ হাজার ৪৭২ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা বেতন পেতেন হামজা। সেই হিসেবে ক্লাবটি থেকে তার দৈনিক আয় ছিল ৫ হাজার ৯২৪ ইউরো (৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা)। প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, ২০২৪-২৫ মৌসুমে হামজাই ছিলেন শেফিল্ডের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলার। তার সমান পেয়েছেন চিলির ফরোয়ার্ড বেন ব্রেরেটন দিয়াজ ও ইংলিশ স্ট্রাইকার রিয়ান ব্রুস্টার।

অন্যদিকে লেস্টার শহরের স্থানীয় পত্রিকা লেস্টার মার্কারি জানিয়েছে, শেফিল্ড প্রিমিয়ার লীগের টিকিট পেলে হামজাকে একেবারে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দিতো ক্লাবটি। তবে টানা দ্বিতীয়বার তিনি হয়তো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে চাইবেন না। আবার লেস্টারও নাকি তাকে ছেড়ে দিতে চাইছে। সম্প্রতি গ্রিসের রেডিও স্টেশন স্পোর্ট এফএমের সাংবাদিক জর্জ সানাকাস জানিয়েছেন, হামজাকে নিজেদের কাছে টানতে চায় দেশটির সফলতম ক্লাব অলিম্পিয়াকোস। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ক্লাবটি  গ্রিক সুপার লীগের শিরোপা জিতে সরাসরি সুযোগ করেছে চ্যাম্পিয়নস লীগে।