খেলা
আইসিসি হল অব ফেমে নতুন সংযুক্তি ৭ জন
স্পোর্টস ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৬ অপরাহ্ন

লন্ডনের অ্যাবি রোড স্টুডিওসে সোমবার বসে তারাদের মেলা। ‘আ ডে উইথ দ্য লেজেন্ডস’ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়েছে আইসিসি হল অব ফেমে নতুন অন্তর্ভুক্তি সাত ক্রিকেটারের নাম। একসঙ্গে সাতজন দেখেই আইসিসি এটিকে আখ্যা দিয়েছে ‘মেগা ইনডাকশন’ নামে। সেখানে জায়গা পেয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, ম্যাথু হেইডেন, হাশিম আমলা, ড্যানিয়েল ভিট্টরি, গ্রায়েম স্মিথ, সারা টেলর ও সানা মীর।
তালিকায় থাকা সানা মীর পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ভূষিত হয়েছেন এ সম্মানে। দেশের হয়ে ১২০ ওয়ানডের ৭২টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সীমিত ওভারের ১০৬ ম্যাচের ৬৫টিতে অধিনায়কত্বের ভার ছিল তার কাঁধেই। পাকিস্তানের হয়ে ২০১০ ও ২০১৪তে এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদকও জেতেন সানা। একদিনের ক্রিকেটে ১৫১ উইকেট নিয়ে এই সংস্করণে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক তিনিই। আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া আগের তারকারা, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভোটে এই সম্মানের পরবর্তী তারকাদের বেছে নেয়া হয়। এবারের সাতজনকে নিয়ে হল অব ফেমের মোট সদস্যসংখ্যা হলো ১২২ জন। ইতিহাস গড়ে এই সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর সারা বলেন, ‘ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম, একদিন আমাদের দেশে একটি নারী ক্রিকেট দল থাকবে। আর আজ আমি এখানে দাঁড়িয়ে। সেসব কিংবদন্তির পাশে আমাকে রাখা হয়েছে, যাদের আমি ব্যাট বা বল হাতে নেয়ার অনেক আগে থেকেই আদর্শ মানি। এটি এমন একটি মুহূর্ত, যা আমি কখনও কল্পনা করতে পারিনি। এ সম্মান পেয়ে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটকে এর প্রতিদান কোনো না কোনোভাবে ফিরিয়ে দিতে পারব বলে আমি আশাবাদী।’
ভারতীয়দের সাবেক অধিনায়ক ধোনির নেতৃত্বে ২৮ বছর পর ২০১১তে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে ভারত। এর আগে ২০০৭-এ তার হাত ধরেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জেতে ভারত। দুই সংস্করণে বিশ্বজয়ের পাশাপাশি ২০১৩তে ধোনির নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে ভারতীয়রা। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ম্যাথু হেউডেন তার আগ্রাসী ও বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কারণে বেশ সুপরিচিত ছিলেন। ২০০৭-এ অজিদের বিশ্বকাপ জয়ের পথে ৩টি সেঞ্চুরি হাঁকান হেইডেন। সবমিলে ৩০টি লাল বলের সেঞ্চুরি নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করে বর্তমানে তার পরিচয় ধারাভাষ্যকার। প্রোটিয়াদের দুজন জায়গা করেছেন হল অব ফেমে, হাশিম আমলা ও গ্রায়েম স্মিথ। দীর্ঘ সময় ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং স্তম্ভ ছিলেন আমলা। তিন সংস্করণ মিলিয়ে মোট ৫৫ সেঞ্চুরির মালিক আমলা প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকান ২০১২তে। অন্যদিকে তার একসময়ের সতীর্থ স্মিথ এখন পর্যন্ত একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি শতম্যাচের বেশি (১৫০) দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাঁহাতি এই ওপেনারের অধিনায়কত্বে ১০৯ টেস্টের ৫৩টিতেই জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ভিট্টরির ক্যারিয়ারও ছিল অনবদ্য। টেস্টে ৪ হাজার রানের পাশাপাশি ৩০০ উইকেট নেয়া স্রেফ তিন ক্রিকেটারের একজন তিনি, বাকি দুজন ইয়ান বোথাম ও কপিল দেব। হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া অন্যজন হলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি নারী ক্রিকেটার সারা টেলর। ২০০৯-এ ইংলিশদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। উইকেটকিপার হিসেবে সব সংস্করণ মিলিয়ে তার ডিসমিসালের সংখ্যা ২৩২। এছাড়াও ঘরের মাঠে ২০১৭তে ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন টেলর।