ভারত
পশ্চিমবঙ্গসহ ভারত জুড়ে ঈদ উল আজহা উদযাপিত হচ্ছে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১০ ঘন্টা আগে) ৭ জুন ২০২৫, শনিবার, ৩:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৩৭ অপরাহ্ন

শনিবার কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদ উল আজহা উদযাপিত হচ্ছে । মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব এই পবিত্র ঈদ উল আজহা। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারত জুড়ে পবিত্র ঈদুল আজহা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে উদযাপিত হচ্ছে। সকালে নামাজ আদায় এবং ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপনের জন্য নির্দিষ্ট ঈদগাহ ও মসজিদগুলিতে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা বিপুল সংখ্যায় অংশ নিয়েছিলেন।
ঈদ উল আজহা উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার তিনি বলেন, ঈদ উল আজহার শুভেচ্ছা, আজকের দিনটা আমাদের সমাজের সম্প্রীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলুক এবং শান্তির বুননকে আরও শক্তিশালী করে তুলুক। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি কামনা করছি।
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকলকে জানাই ঈদ উল আজহার আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
শনিবার সকালে কলকাতার রেড রোডে বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক লক্ষ মুসল্লি এই জামাতে অংশ নিয়ে নামাজ আদায় করেছেন। কলকাতার ঐতিহাসিক নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, মেটিয়াব্রুজ, খিদিরপুর, মল্লিক বাজার, রাজাবাজার, বেলগাছিয়া, আনোয়ার শাহ রোড, পার্ক সার্কাস, জাকারিয়া স্ট্রিট সহ শহরের বিভিন্ন নামী মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় হয়েছে । নামাজে অংশ নিয়েছেন নেতা, মন্ত্রী থেকে সংসদ সদস্য, বিধায়ক সহ আবালবৃদ্ধবণিতা ও শিশুরাও ।
সকাল থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন মসজিদে জমায়েত হয়েছিলেন। আর সেখানে নামাজ আদায় শেষে তারা দেশের অগ্রগতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে বিশেষ মোনাজাত করেছেন। নামাজ আদায় শেষে কোলাকুলি করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদের নামাজ আদায়ের পরে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে সামর্য্নবানরা দুম্বা, ছাগল, গরু, মহিষ কোরবানি দিয়েছেন। ভারতের বিভিন্ন শহরে গরু, মহিষ জবাই নিষিদ্ধ থাকায় সেইসব জায়গায় ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে ছাগল,মহিষের চেয়ে গরুর কোরবানি বেশি হয়েছে। কলকাতা ও শহরতলি মিলিয়ে কয়েক হাজার গরু কোরবানি হয়েছে বলে নানা সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কোরবানির লোকের অভাবে অনেকেই রবিবার কোরবানির আয়োজন করেছেন। রাজাবাজার অঞ্চলের ব্যবসায়ী আকিল আহমেদ বলছিলেন কোরবানির লোকের অভাবের কথা। ফলে পরের দিনও কোরবানির আয়োজন করা হয়েছে অনেক জায়গাতেই।
এদিকে, ঈদ উল আজহার আগে কলকাতা ও শহরতলির বাজারগুলি শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা ছিল।ক্রেতারা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য বাজারে ভিড় করেছিলেন। জাকারিয়া স্ট্রিট, নিউ মার্কেট, এন্টালি এবং রবীন্দ্র সরণি সহ প্রধান বাজারগুলিতে শেষমুহূর্তে ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের জমজমাট ব্যবসা হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
বিরিয়ানি মশলা, সাজসজ্জার জিনিসপত্র ছাড়াও মশলা এবং উৎসবের পোশাক কিনতে মুসলিম পরিবারগুলি নিউ মার্কেটে ভিড় জমিয়েছিলেন।
জাকারিয়া স্ট্রিটে সেমাই, লাচ্ছা এবং ঈদের সকাল উপলক্ষে সোনালী এবং ফ্লেকি খাস্তার চাহিদা ছিল তুঙ্গে। নাখোদা মসজিদের কাছে ঈদ বাজারে বিভিন্ন দামের আতরের চাহিদা ছিল ব্যাপক। শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত অনেককেই সপরিবারে বাজার করতে দেখা গিয়েছে ।