অনলাইন
বিমানে বিস্ফোরক বহনসহ একাধিক নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘন, তুরস্ক এয়ারলাইন্সকে সতর্ক করল ভারত
মানবজমিন ডিজিটাল
(১৫ ঘন্টা আগে) ৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
২৯ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে ভারতের চারটি প্রধান বিমানবন্দর দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে আকস্মিক পরিদর্শনের সময় টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কার্যক্রমে একাধিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা খুঁজে পেয়েছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। আজ এক বিবৃতিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিয়মের অধীনে পরিচালিত এই পরিদর্শনগুলো ভারতীয় এবং বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা মানদণ্ড মেনে বিমান সংস্থার যাত্রী এবং পণ্যবাহী ফ্লাইটের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই নিয়মগুলো আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল কনভেনশন (ICAO)-এর ১৬ অনুচ্ছেদের আওতায় পড়ে।
বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে একটি বড় ধরনের ত্রুটির খবর পাওয়া গেছে, যেখানে মার্শালার - যিনি মাটিতে বিমান পরিচালনা করছিলেন তিনি যথাযথ প্রশিক্ষিত ছিলেন না। এই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তার কাছে কোনো 'competency card বা অভিজ্ঞতা ছিল না। আরেকটি গুরুতর লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একজন সার্টিফাইড এয়ারক্রাফ্ট রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলীর (AME) পরিবর্তে একজন টেকনিশিয়ান বিমানের ওঠামানা পরিচালনা করছিলেন। এটি বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়মের পরিপন্থী। অনুমোদিত পরিষেবা প্রদানকারী এয়ারওয়ার্কস সেই সময় উপস্থিত ছিল না। কার্গো চেকিংয়ে দেখা গেছে যে টার্কিশ এয়ারলাইন্স ডিজিসিএ-এর বাধ্যতামূলক অনুমতি ছাড়াই বিস্ফোরক সহ বিপজ্জনক পণ্য বহন করছিল।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হয় অনুপস্থিত ছিল অথবা অসম্পূর্ণ ছিল। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং অনুশীলনগুলোও উদ্বেগজনক ছিল। হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এবং এর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং অংশীদার, গ্লোব গ্রাউন্ড ইন্ডিয়ার মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক পরিষেবা-স্তরের চুক্তি (SLA) ছিল না। মই, ট্রলি এবং পাওয়ার ইউনিটের মতো সরঞ্জামগুলির কোনও স্পষ্ট রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এই অনুসন্ধানের পর, ডিজিসিএ টার্কিশ এয়ারলাইন্সকে তাৎক্ষণিক সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে এবং আইসিএও এবং ডিজিসিএ নিয়মাবলী সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। ডিজিসিএ জানিয়েছে, বিমানবন্দরে তদারকি এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আবারো পরিদর্শন করা হবে। প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের সময় তুরস্কের পাকিস্তানকে সমর্থন করে ভারতের বিরাগভাজন হয়।
সূত্র : এনডিটিভি