অনলাইন
লেখক মহিউদ্দিন আহমদের ফেসবুক স্ট্যাটাস
৫৪ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ৫ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৪২ অপরাহ্ন

‘৫৪ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসা যথেষ্ট হয়েছে, এটি আর নয়’- বলে মন্তব্য করেছেন লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিজের লেখা বই ‘এই দেশে একদিন যুদ্ধ হয়েছিল’-এর একটা ছবি জুড়ে দিয়ে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এতে তিনি লিখেন, ‘অনেক সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি। আমিও তাদের একজন। আমি একাত্তরের ৩১ জুলাই অস্ত্র নিয়ে দেশে ঢুকেছিলাম। অথচ ডিসেম্বরের ১৬ তারিখের পরে ভারত থেকে আসা লোকেরা রাইফেল হাতে পোজ নিয়ে ছবি তুলে দিব্বি ভাতা খেয়ে বেড়াচ্ছে। একটা সার্টিফিকেটের জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে, এটা কখনো মাথায় আসেনি।’
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধে কয়েকটি প্রস্তাব জানিয়ে তিনি ওই স্ট্যাটাসে আরও লিখেন, ‘অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বছরের পর বছর গরিবের ট্যাক্সের টাকায় পেনশন নিচ্ছে। কয়েক বছর পরপর সরকার বদল হয় আর দলীয় বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকা বদলায়। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
আমার প্রস্তাব:
১. মুক্তিযোদ্ধা ভাতা অবিলম্বে বন্ধ করুন। কারণ এই ভাতার গন্ধেই ধান্দাবাজেরা জুটেছে।
২. জামুকা এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় বিলুপ্ত করুন। এরা টাকা খেয়ে অনেককে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে।
৩. দুর্নীতির আখড়া মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ভেঙে দিন এবং এই সংস্থার আয়ত্বে থাকা সকল বাণিজ্যিক স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান নিলাম ডেকে বেচে দিন।

তিনি আরও লিখেন, ‘আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিরোধযুদ্ধ করেছি বিবেকের তাড়নায়। ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য নয়। যারা বেতন-ভাতা, পদ-পদোন্নতির জন্য যুদ্ধ করে, তাদের আমরা মার্সেনারি বা ভাড়াটে যোদ্ধা বলি। ৫৪ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায় যথেষ্ট হয়েছে। আর নয়।’
পাঠকের মতামত
মুক্তিযোদ্ধা ভাতা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান নষ্ট করেছে। শুধু ভাতার লোভে অনেক ভুয়া ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে।
এখন ভাতা বন্ধ করলে সরকার চাপে পরবে। পতিত স্বৈরাচার সরকার বিভিন্ন ভাবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করছে। আর সরকারি চাকরিজীবীরা সরকারকে কোন রকম সহায়তা করছে না। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পরেছে। এখন নতুন এই ঝামেলা করতে গেলে সরকার আরো চাপে পরবে।
Excellent
I agree with writer
একতম
চমৎকার লেখা, উপযুক্ত সময়ে
ভাতা প্রথা চালুর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে কারন কোন দেশপ্রেমিক ভাতার জন্য যুদ্ধ করেনি।বহু আগে থেকেই বলে আসছি।